গভীররাত পর্যন্ত দফতরে কাজ, ভোরে জন্ম সন্তানের, মেয়র মায়ের কীর্তিকে কুর্নিশ নেটিজেনদের
জানা গিয়েছে, গর্ভবতী থাকাকালীন কোনও ছুটি তিনি নেননি। বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেন তিনি। দফতরে একাধিক বৈঠক করেছেন সৌম্যা। উপস্থিত ছিলেন কর্পোরেশনের বৈঠকেও। বৈঠক করার পরই তাঁর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। বুধবার রাতেই তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
জয়পুর: কথায় বলে মা হওয়া মোটেই সহজ ব্যাপার নয়। মা হতে গেলে অনেক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। শুধু তাই নয়, বর্তমান যুগে যাঁরা কর্মরত মহিলা তাঁদের ক্ষেত্রে বিষয়টা আরও কঠিন। শরীরের ধকলের সঙ্গে সঙ্গে সামলাতে হয় অফিসও। এই চিরাচরিত ধারণায় এবার বদল আনলেন জয়পুরের মেয়র। শারীরিক পরিবর্তনকে কার্যত পাত্তা দিলেন না তিনি। তিনি গ্রেটার জয়পুর নগর নিগমের মেয়র ডা. সৌম্যা গুরজার। বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত নিজের দফতরে কাজ করেন তিনি। আর বৃহস্পতিবার সকালে জন্ম দেন পুত্র সন্তানের। মেয়রের এই কীর্তি ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।
জানা গিয়েছে, গর্ভবতী থাকাকালীন কোনও ছুটি তিনি নেননি। বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেন তিনি। দফতরে একাধিক বৈঠক করেছেন সৌম্যা। উপস্থিত ছিলেন কর্পোরেশনের বৈঠকেও। বৈঠক করার পরই তাঁর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। বুধবার রাতেই তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। কুকুন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সাত সকালে সেখানেই পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন মেয়র। তাঁকে ভরতি করা হয়। এরপর সকালেই সন্তানের জন্ম দেন। সৌম্যা নিজেই এই খবর ট্যুইটারে জানিয়েছেন।
ট্যুইটারে তিনি লেখেন, "কাজ হল পরম পূজনীয়। বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের বৈঠক করেছি। তারপরই প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ভর্তি হই কুকুন হাসপাতালে। হওয়ায় হাসপাতালে ভরতি হয়েছি। ভগবানের আশীর্বাদে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা বেজে ১৪ মিনিটে পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছি।''
জানা গিয়েছে, বরাবরই কাজ পাগল বলে পরিচিত মেয়র সৌম্যা। গর্ভাবস্থার শেষ একমাসেও একইভাবে কাজ করে গিয়েছেন তিনি। সৌম্যার এই কাজে প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। ওই পোস্ট করার পরই সঙ্গে সঙ্গে তা ভাইরাল হয়ে যায় সোশাল মিডিয়ায়। এক ট্যুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, সদ্যোজাত এবং আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল। সাবধানে থকুন এবং সুস্থ থাকুন।