(Source: Poll of Polls)
JNU Controversy : "ভারত ছাড়ো", জেএনইউ-তে ব্রাহ্মণ-বিরোধী দেওয়াল লিখন ঘিরে শোরগোল; কী বলছে কর্তৃপক্ষ ?
Anti-Brahmin Slogans In Campus : সূত্রের খবর, স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-২-এৎ বিল্ডিংয়ের ব্রাহ্মণ ও বণিক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে একাধিক দেওয়াল লিখন রয়েছে
নয়া দিল্লি : জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (Jawaharlal Nehru University) ক্যাম্পাসের বিল্ডিংয়ে ব্রাহ্মণ ও বণিক-বিরোধী দেওযাল লিখন। ক্যাম্পাসের একাধিক দেওয়াল লাল রঙের কালিতে ওই দুই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে লেখনী ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে। বৃহস্পতিবারের এই ঘটনার বেশ কয়েকটি ছবি সোশাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল (Viral in Social Media) হয়েছে। এরপরই নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসে এই ধরনের মানসিকতার তীব্র নিন্দা করে বিবৃতি জারি করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় করতৃপক্ষের তরফে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের ঘটনা সহ্য করা হবে না। কারণ, এই বিশ্ববিদ্যালয় সকলের জন্য।
দেওয়াল লিখন ঘিরে বিতর্ক-
সূত্রের খবর, স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-২-এর বিল্ডিংয়ের ব্রাহ্মণ ও বণিক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে একাধিক দেওয়াল লিখন রয়েছে। এমনই দাবি করছেন সেখানকার ছাত্ররা। কোনও কোনও স্লোগানে লেখা হয়েছে, "ব্রাহ্মণরা... এই ক্যাম্পাস ছাড়ুন", "রক্তপাত হবে", "ব্রাহ্মণরা ভারত ছাড়ো"। আবার ব্রাহ্মণ ও বণিকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে লেখা হয়েছে, "আমরা আসছি, বদলা নেব।"
এই ধরনের দেওয়াল লিখনে বামেদের কাঠগড়ায় তুলেছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, এবিভিপি-র জেএনইউ-র সভাপতি রোহিত কুমার বলেছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে বামপন্থী গুন্ডাদের এই ধরনের দেওয়াল লিখনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হচ্ছে। স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-২-এর বিল্ডিংয়ে এসব লিখেছে কমিউনিস্টরা। এমনকী মুক্তমনা অধ্যাপকদের ভয় দেখাতে তাঁদের চেম্বারও বিকৃত করা হয়েছে। আমরা মনে করি যে, শিক্ষাক্ষেত্রে বিতর্ক ও আলোচনা চলতে পারে। কিন্তু, ছাত্র সম্প্রদায় বা সমাজকে বিষাক্ত করা উচিত নয়।
অন্যদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে ট্যুইট করেছে জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফোরামও।
চলতি বছরেই রামনবমীতে উত্তাল হয়ে ওঠে জেএনইউ ক্যাম্পাস। এবিভিপি (ABVP) ও একাধিক বাম ছাত্র সংগঠনের (JNUSU) মধ্যে সংঘাতের অভিযোগ ওঠে। এসএফআই, আইসা সহ একাধিক বাম ছাত্র সংগঠনের তরফে এবিভিপি-র বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়।
ঘটনার সূত্রপাত রামনবমীতে খাওয়া-দাওয়ার বিধি নিয়ে ! ' আমিষ খাওয়া যাবে না' । অভিযোগ, এই দাবিতেই দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকজন পড়ুয়াকে মারধর করে এবিভিপির সদস্যরা। ওই ঘটনায় কয়েকজন পড়ুয়া আহত হন বলে খবর। এবিভিপি-র বিরুদ্ধে হামলা ও মারধরের অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক বাম ছাত্র সংগঠন। যদিও এবিভিপি দাবি করে, বামপন্থী পড়ুয়ারাই তাদের ওপর হামলা করেছে।
আরও পড়ুন ; ‘দিল্লিতে অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিচ্ছে কেজরিওয়াল, বাংলায় মমতা', বললেন দিলীপ