এক্সপ্লোর
Advertisement
১২০০ কিমি স্কুটারে সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে ঝাড়খন্ড থেকে গোয়ালিয়রে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে গেলেন স্বামী, মিলল ফেরার প্লেনের টিকিট
আদানি ফাউন্ডেশন তাঁদের গোয়ালিয়র থেকে রাঁচি ফেরার ১৬ সেপ্টেম্বরের বিমানের টিকিট কেটে দিয়েছে বলে সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন ধনঞ্জয়। গোয়ালিয়র থেকে রাঁচির সরাসরি ফ্লাইট নেই। তাই হায়দরাবাদ হয়ে রাঁচি ফিরবেন ওঁরা। সেখান থেকে সড়ক পথে গোড্ডায়। সেজন্য গাড়ির ব্যবস্থা করবে গোড্ডা প্রশাসন।
নয়াদিল্লি: নিজে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করলেও স্ত্রী সোনি হেমব্রমের স্কুল শিক্ষিকার চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন যেন তাঁর নিজেরই স্বপ্ন হয়ে উঠেছিল। তাই সন্তানসম্ভবা ২২ বছরের সোনি যাতে ডিএড (ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন) পরীক্ষায় বসতে পারেন, সেজন্য তাঁকে টু হুইলারে বসিয়ে ১২০০ কিমির বেশি রাস্তা পেরিয়ে ঝাড়খন্ডের গোড্ডা জেলা থেকে গোয়ালিয়র নিয়ে গিয়েছিলেন ২৭ বছরের ধনঞ্জয় কুমার। সেখানেই পরীক্ষার সেন্টার হয়েছিল। কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে লকডাউনের মধ্যে ঝড়-বৃষ্টি, ভাঙাচোরা রাস্তা, নানা বাধা পেরিয়ে সাহস, জেদ, স্বামী-স্ত্রীর প্রেম-ভালবাসার নজির গড়েছেন এই আদিবাসী দম্পতি। ধনঞ্জয়, সোনির কাহিনি মিডিয়া মারফত জেনে আদানি ফাউন্ডেশন ওঁদের ঝাড়খন্ড ফেরার বিমানের টিকিটের ব্যবস্থা করেছে। সংস্থার চেয়ারপার্সন ট্যুইট করেছেন, ধনঞ্জয়, সোনির ম্যারাথন যাত্রা অস্তিত্বের লড়াই, শপথ ও এক বিরাট আশাবাদের পথ চলা। ওদের গোড্ডায় ঘরে ফেরার যাত্রাটা যাতে আরামদায়ক হয়, সেই ব্যবস্থা করতে পেরে আদানি ফাউন্ডেশন কৃতার্থ বোধ করছে। এই অনুপ্রেরণামূলক কাহিনি প্রকাশ্যে আনায় স্থানীয় মিডিয়াকেও ধন্যবাদ।
#Godda जिले के दम्पत्ति सोनी और धनंजय हेम्बरम को ग्वालियर से अदाणी फाउंडेशन के द्वारा फ्लाइट में लौटने की सुविधा प्रदान की जा रही है। जिस तरह वह दोनों ने परीक्षा के लिए स्कूटी पर 1000+ km की प्रेरणादायक यात्रा की, उससे साबित होता है कि जहां चाह, वहां राह।https://t.co/Uv1oIgG0NN
— Adani Foundation (@AdaniFoundation) September 7, 2020
আদানি ফাউন্ডেশন তাঁদের গোয়ালিয়র থেকে রাঁচি ফেরার ১৬ সেপ্টেম্বরের বিমানের টিকিট কেটে দিয়েছে বলে সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন ধনঞ্জয়। গোয়ালিয়র থেকে রাঁচির সরাসরি ফ্লাইট নেই। তাই হায়দরাবাদ হয়ে রাঁচি ফিরবেন ওঁরা। সেখান থেকে সড়ক পথে গোড্ডায়। সেজন্য গাড়ির ব্যবস্থা করবে গোড্ডা প্রশাসন। যে স্কুটারে চেপে তাঁরা গোয়ালিয়র এসেছিলেন, সেটিও ফাউন্ডেশন ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে।
গোয়ালিয়র প্রশাসন পরীক্ষাকেন্দ্রের কাছাকাছি তাঁদের থাকার আয়োজন করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ধনঞ্জয়। শুধু তাই নয়, তারা গর্ভবতী স্ত্রীর শারীরিক চেক আপের আয়োজনও করেছে।
গোয়ালিয়র পৌঁছনোর খরচ জোগাড় করতে নিজেদের সোনাদানা বন্ধক রেখে ১০ হাজার টাকার ব্যবস্থা করেছিলেন ওঁরা। ধনঞ্জয় জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের এক তরুণী তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই গয়না ছাড়ানোর জন্য ১০ হাজার টাকা জমাও করেছেন। আবার গোড্ডা থেকে কিছু লোক ফোন করে ধনঞ্জয়কে কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন।
সোনি বলেছেন, আগে ভেবেছিলাম বোধহয় পরীক্ষা দেওয়া হবে না, কিন্তু স্বামীর আগ্রহ, জেদ দেখার পর আমিও দীর্ঘ পথ যাত্রার জন্য মানসিক ভাবে তৈরি হই।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
খুঁটিনাটি
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement