Karnataka News: অপহরণ করে শিশুকন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা-খুন! পুলিশি 'এনকাউন্টারে' খতম অভিযুক্ত
হুবলির পুলিশ কমিশনার শশী কুমার জানান, রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযুক্তকে পাকড়াও করতে অভিযান চালায়। তখন সে পালানোর চেষ্টা করে।

কর্ণাটকে পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হল শিশুকন্যাকে খুনে অভিযুক্ত মাঝবয়সি যুবক। অভিযোগ ছিল, পাঁচ বছর বয়সি এক নাবালিকাকে তিনি অপহরণ করে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন। রবিবার হুবলি জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত গত দু-তিন মাস ধরে ওই এলাকায় থাকছিলেন। কখনও হোটেলে কখনও নির্মাণ ক্ষেত্রে কাজ করতেন তিনি। মৃতের নাম নীতীশ কুমার (৩৫)।
সে বিহারের বাসিন্দা। পাঁচ বছর বয়সি এক শিশুকন্যাকে অপহরণ করে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল সে। পরে ওই তরুণ মেয়েটিকে খুন করে বলে অভিযোগ। গতকাল পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে অভিযুক্তের।
হুবলির পুলিশ কমিশনার শশী কুমার জানান, রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযুক্তকে পাকড়াও করতে অভিযান চালায়। তখন সে পালানোর চেষ্টা করে। অভিযুক্তকে থামাতে প্রথমে শূন্যে গুলি চালানো হয়েছিল। তার পরও পালানোর চেষ্টা করায় দুই রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয় সে। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তরুণের।
পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য, স্থানীয় থানার একটি দল অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলছিল। তিনি কোথায় থাকেন, তাঁর পরিচয় কী, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছিলেন পুলিশকর্মীরা। তখনই অতর্কিতে পুলিশের উপর অভিযুক্ত চড়াও হন এবং পালানোর চেষ্টা করেন বলে দাবি পুলিশ কমিশনারের।
অভিযোগ, নীতীশ ওই শিশুকন্যাকে অপহরণ করে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে সে শিশুকন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা চলে আসতে পারেন, এই আশঙ্কায় ওই তরুণ তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে পালিয়ে যায়। অবশেষে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে অভিযুক্তের।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনের অধীনে ধর্ষণের পাশাপাশি হত্যার মামলাও করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং ধরওয়াদের সাংসদ প্রহ্লাদ যোশী সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার পরিবার কোপ্পাল জেলার বাসিন্দা। তার মা গৃহকর্মী এবং একটি বিউটি পার্লারে সহকারী হিসেবে কাজ করেন, আর তার বাবা রংমিস্ত্রির কাজ করেন। মা তার মেয়েকে কাজের জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন, কারণ তিনি এলাকার বাড়িতে কাজ করতেন। সেখান থেকে ওই ব্যক্তি মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায়।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
