Kashmir News : 'শেষ মুহূর্তে ঠিক করি ওখানে নয়...শিবমন্দিরে যাব' বরাত জোরে বাঁচার গল্প বললেন নদিয়ার সুদীপ্ত
স্ত্রীকে নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছেন কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা সুদীপ্ত । তাঁদেরও গতকাল পহেলগাঁওয়ের মিনি সুইৎজারল্যান্ডে যাওয়ার কথা ছিল।

শ্রীনগর : ভয়ঙ্কর, ভয়ানক, ভয়াবহ। কোনও বিশেষণই যথেষ্ট নয়। সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে বাংলার ৩ জন-সহ ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সেই প্রত্যেককেই মারা হয়েছে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে, দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। কেউ ছবি তুলছিলেন, কেউ লাঞ্চের পর নিচ্ছিলেন জিরিয়ে, কেউ আবার গড়ে তুলছিলেন মধুচন্দ্রিমার মিঠে স্মৃতি। কিন্তু মুহূর্তে সব শেষ। কারও হয়ত বাড়ি ফেরার কথা ছিল বুধবারই, কিন্তু একদিন আগেই সব শেষ। এরই মধ্যে কারও কারও প্রাণরক্ষা হয়েছে একচুলের জন্য। যেমন কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা সুদীপ্ত দাসদের। স্ত্রীকে নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছেন কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা সুদীপ্ত । তাঁদেরও গতকাল পহেলগাঁওয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
সুদীপ্ত দাস জানালেন, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সেটিকে মিনি সুইৎজারল্যান্ড বলা হয়। সেখানে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদেরও। কিন্তু আবহাওয়ার কারণেই সেদিন শেষ মুহূর্তে তাঁরা ঠিক করেন, ওখানে যাবেন না। বদলে নিকটস্থ একটি শিবমন্দিরে দর্শনে যান। সেখানে পুজো করে বেরিয়েই তাঁরা জানতে পারেন এই ঘটনার কথা। তখনই বুঝতে পারেন, বড় বাঁচার বেঁচে গিয়েছেন। শিব মন্দিরে না এলে তো সেখানেই যেতেন তাঁরা। সেই সঙ্গে জানতে পারেন, কয়েকদিনের বেড়ানোয় পরিচিত মুখের কয়েকজন সে-সময় ওখানেই ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ঘটে গিয়েছে ভয়াবহ ঘটনা। তাঁরা বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন।
এরকম অনেকেই বেঁচে গিয়েছেন একটুর জন্য। কেষ্টপুর থেকে গোটা সাহা পরিবার গেছিল কাশ্মীরে ঘুরতে। দিল্লি হয়ে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে পুজো দিয়ে ১৪ জনের দলটি গেছিল পহেলগাঁওয়ে। সেখানে ২ দিন ছিলেন তাঁরা। বৈসরণে যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে গাড়ি চালকের নিষেধ শুনে আর যাননি। পহেলগাঁও ঘুরে গতকাল শ্রীনগরে ফেরার পরেই শুনেছেন জঙ্গি হামলার কথা। বরাতজোরে বেঁচেছে সাহা পরিবার। শুক্রবার ফেরার টিকিট কাটা রয়েছে। কিন্তু এই অবস্থায় কীভাবে ফিরবেন বুঝতে পারছে না কেষ্টপুরের ওই পরিবার।
এদিকে, কাশ্মীরে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হানার ঘটনায় কড়া বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 'সফল হবে না ওদের উদ্দেশ্য, দোষীদের কাউকে ছাড়া হবে না। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই আরও শক্তিশালী হবে' বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পৌঁছেছেন পহেলগাঁওতে। কথা বলেছেন স্বজনহারাদের সঙ্গে।
ইতিমধ্যেই উপত্যকা ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে পর্যটকদের। সকলেই পহেলগাঁও থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় প্রত্যেকে। এখন চারিদিকে রাস্তা আটকানো। খুঁজছেন বেরনোর রাস্তা। ত্রাসের পরিবেশ থেকে কখন বেরোবেন, অপেক্ষা এখন তারই।






















