Malayalam actor Dileep: অভিনেত্রীকে গাড়িতে আটকে যৌন নির্যাতন! অভিযুক্ত নামী অভিনেতা, ৮ বছর ধরে বিচারের পর এল বড় রায়
আট বছর আইনি লড়াইয়ের পর ২০২৫ সালের শেষে এসে মামলা থেকে নিষ্কৃতী পেলেন অভিনেতা। প্রায় আট বছর ধরে চলা আইনি লড়াই শেষ হল।

২০১৬ সালে দিলীপের শেষ ছবি ছিল "ওয়েলকাম টু সেন্ট্রাল জেল" । আর ঠিক এক বছর পর, ২০১৭ সালেই এক অভিনেত্রীর উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার হন এক সময় সাড়া ফেলে দেওয়া মালয়ালি অভিনেতা দিলীপ। তারপর আট বছর আইনি লড়াইয়ের পর ২০২৫ সালের শেষে এসে মামলা থেকে নিষ্কৃতী পেলেন অভিনেতা। প্রায় আট বছর ধরে চলা আইনি লড়াই শেষ হল।
সোমবার কেরলের একটি আদালত ২০১৭ সালের যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া মালায়ালি অভিনেতা দিলীপকে বেকসুর খালাস করল। তবে আদালত এই মামলায় অন্য ছয়জন অভিযুক্তকে ধর্ষণ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, অপহরণ এবং অন্যান্য ধায়ায় দোষী সাব্যস্ত করেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা য়, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, অন্যায়ভাবে আটকে রাখা, শালীনতা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ, অপহরণ, পোশাক ছেঁড়ার চেষ্টা এবং গণধর্ষণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে। এর্নাকুলাম জেলা ও প্রধান দায়রা আদালতের বিচারক সকাল ১১ টায় এই রায় ঘোষণা করেন।
২০১৭র ফেব্রুয়ারি মাস। কোচিতে এক জনপ্রিয় মালয়ালি অভিনেত্রীকে অপহরণ ও গাড়িতে আটকে রেখে দুই ঘণ্টা ধরে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনা দক্ষিণী চলচ্চিত্র জগতে সাড়া ফেলে দেয়। তদন্তে ১০ জনের নাম উঠে আসে। অভিযুক্তরা ছিল, পালসার সানি, মার্টিন অ্যান্টনি, মণিকন্দন বি, ভিজেশ ভিপি, সেলিম এইচ, প্রদীপ, চার্লি থমাস, সানিল কুমার ওরফে মেস্ত্রি সানিল এবং শরথ সহ দশজন। প্রত্যেক অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়।যার মধ্যে রয়েছে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, অপহরণ, যৌন নির্যাতন, গণধর্ষণ, প্রমাণ ধ্বংসের মতো ভয়ঙ্কর ধারাও। এই মামলায় ৮ নম্বর অভিযুক্ত ছিলেন অভিনেতা দিলীপ। তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ নষ্ট করা সহ বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগ ছিল।
পুলিশ ২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রথম চার্জশিট দাখিল করে। তদন্তকারীরা অভিযোগ করেন যে প্রধান অভিযুক্ত পালসার সানি দিলীপকে জেল থেকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল, সেই ভিযোগের ভিত্তিতে দিলীপকে ওই বছরের জুলাই মাসে গ্রেফতার করা হয়। পরে ২০১৭ সালের অক্টোবরে তাকে জামিন দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে, দিলীপ কেরালা পুলিশের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে সিবিআই তদন্তের আবেদন করেন। আদালত এই আবেদন খারিজ করে দেয়। ডিভিশন বেঞ্চও এই আপিলও খারিজ করে দেয়। বিচার চলাকালীন মোট ২৬১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র জগতের ব্যক্তিত্বও ছিলেন।






















