স্মার্টফোন, টিভির অভাবে অনলাইন ক্লাস না করতে পারায় আত্মঘাতী কেরলের কিশোরী
বাবা ঠিকাকর্মী, লকডাউনে পরিবারে চলছে চূড়ান্ত আর্থিক সঙ্কট
কোঝিকোড়: স্মার্টফোন নেই। বাড়ির টিভিও অকেজো। এই পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাস না করতে পারায় আত্মহননের পথ বেছে নিল নবম শ্রেণির কিশোরী। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কেরলে। খবরে প্রকাশ, সোমবার থেকেই কেরলে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। করোনা লকডাউন বলবৎ থাকায় স্কুল কলেজ সহ রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি অনলাইন ক্লাস শুরু করায় মনস্থির করে। পুলিশ জানিয়েছে, অনলাইন ক্লাসের পরিকাঠামো না থাকায় সোমবার রাতে বালানচেরিয়ন জেলার নিবাসী ১৪ বছর বয়সী ওই দলিত কিশোরী গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করে। পেশায় ঠিকাকর্মী নিহতের বাবা বলেন, তাঁর মেয়ে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। কিন্তু, বাড়ির টিভি সেট দীর্ঘদিন ধরে বিকল ও ঘরে কোনও স্মার্টফোন না থাকায় এই অনলাইন ক্লাস নিয়ে ভীষণই নার্ভাস ছিল। নিহতের ঠাকুমাও মর্মাহত। অনলাইন ক্লাস না করতে পেরে নাতনির এভাবে মৃত্যুবরণের ঘটনায় তিনি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। পরিবার জানিয়েছে, সোমবার দুপুর থেকেই নিখোঁজ ছিল কিশোরী। বাড়ির কাছে একটি জায়গা থেকে তার দগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। কিশোরীর বাবা জানান, লকডাউনের ফলে তাঁর পরিবার চূড়ান্ত আর্থিরক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে চলছিল। প্রসঙ্গত, টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে অলনাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। এই ঘটনায় রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন কেরলের শিক্ষামন্ত্রী সি রবীন্দ্রন।