Kolkata Coronavirus: বাড়িতে তিন করোনা আক্রান্ত, বারান্দা থেকে কাপড় বেয়ে বেরোতে গিয়ে পড়ে মৃত্যু বৃদ্ধের? না কি আত্মহত্যা? চাঞ্চল্য হাজরা রোড এলাকায়
বাড়িতে তিন জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ । অসুস্থ ৮৭ হাজরা রোডের প্রবীণ নাগরিক । আতঙ্কে বারান্দা থেকে কাপড় দিয়ে ঝুলে প্রবীণ নাগরিকের তিনতলা থেকে ঝাঁপ? না কি আত্মহত্যার চেষ্টা? ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য হাজরা রোডের ওই এলাকায়।
আবীর দত্ত, কলকাতা: বাড়িতে তিন জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ । অসুস্থ ৮৭ হাজরা রোডের প্রবীণ নাগরিক । আতঙ্কে বারান্দা থেকে কাপড় বেড়ে বেরোতে গিয়ে পড়ে গিয়ে মৃত্যু ওই বৃদ্ধের? না কি আত্মহত্যার চেষ্টা? ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য হাজরা রোডের ওই এলাকায়।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে আছড়ে পড়েছে দেশে। সারা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও লাগামছাড়াভাবে বাড়ছে আক্রান্তর সংখ্যা। কলকাতাতেও আক্রান্তর সংখ্যা বাড়ছে। এরইমধ্যে শহরে মর্মান্তিক ঘটনা। বাড়িতে তিনজন করোনা আক্রান্ত। আইসোলেশনে রাখা হয় এক বৃদ্ধকে। এরইমধ্যে তিনি বহুতল বাড়ির তিনতলার বারান্দা দিয়ে কাপড় বেয়ে বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন বা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অনুমান। বহুতলের বারান্দা থেকে কাপড় দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ তাঁকে ঝুলতে দেখেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত বারান্দা থেকে নিচে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল ৮৭ বছরের মৃত্যু হয়।
শহরের ৭৭ নম্বর হাজরা রোডে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। শিশু মঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গেছে, ওই বৃদ্ধের পরিবারের তিনজন করোনা আক্রান্ত। তাঁরা বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন। ওই বৃদ্ধকেও আলাদা একটি ঘরে রাখা হয়। এদিন বারান্দা দিয়ে কাপড় ঝুলিয়ে তিনি বাইরে আসার চেষ্টা করেন বা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অনুমান। বেশ কিছুক্ষণ ঝোলার পর তিনি বিল্ডিংয়ের নিচে গাড়ির একটি শোরুমের বাইরে থাকা একটি গাড়ির ছাদে এসে পড়েন। সেখান থেকে মাটিতে পড়ে যান। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ওই বৃদ্ধ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন, নাকি বারান্দা দিয়ে বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করতে গিয়ে পড়ে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই বৃদ্ধের দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নমুনা সংগ্রহ করেছে।
জানা গেছে, ওই বৃদ্ধ অসুস্থ ছিলেন। বাড়িতে তিনজনের করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকে একটি ঘরে রাখা হয়েছিল। তিনি অবসাদগ্রস্ত হয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন কিনা, তা জানতে তদন্ত হবে। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
করোনা যখন আতঙ্ক ছড়িয়েছে, তখন এ ধরনের ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই এলাকার মানুষজনকে হতবাক করে দিয়েছে।