দীপাবলিতে ২ ঘণ্টা, বড়দিন-বর্ষবরণের রাতে ৩৫ মিনিটের জন্য পরিবেশবান্ধব বাজিতে ছাড়
পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র পরিবেশ বান্ধব বাজিই বিক্রি করা যাবে। অন্য সব ধরনের বাজির বিক্রি ও তার ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী ও সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: দীপাবলিতে (Diwali) ২ ঘণ্টার জন্য পরিবেশবান্ধব বাজিতে ছাড় দিল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (Polution Control Board)। বড়দিন-বর্ষবরণের রাতে ৩৫ মিনিট ফাটানো যাবে পরিবেশবান্ধব বাজি (Eco Friendly Cracker)। কিন্তু বাজি কি দূষণহীন (Polution Free) বা পরিবেশ বান্ধব হতে পারে? প্রশ্ন পরিবেশবিদদের।
পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) শুধুমাত্র পরিবেশ বান্ধব বাজিই বিক্রি করা যাবে। অন্য সব ধরনের বাজির বিক্রি ও তার ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ (Cracker ban)। করোনা আবহে, দূষণ-শঙ্কার মধ্যেই জানিয়ে দিল পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। বুধবার (Wednesday) পর্ষদের তরফে একটি নির্দেশনামা জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, দূষণহীন দীপাবলি উত্সব করতে তারা বদ্ধপরিকর। আর তার জন্য সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের সমস্ত নিয়মাবলি মানা হবে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশ, দীপাবলিতে মাত্র দু-ঘণ্টার জন্য, রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত, পরিবেশবান্ধব বাজি ফাটানো যাবে। কিন্তু পরিবেশবান্ধব বাজি বলে কি আদৌ কিছু হয়? সেই প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবিদরা। সামনের সপ্তাহেই দীপাবলি। আলোর উত্সব। সেই সঙ্গে দেদার আতসবাজি আর শব্দবাজির দৌরাত্ম্য। যা একধাক্কায় বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে বাতাসে দূষণের পরিমাণ!
এই করোনা আবহে যা আরও মারাত্মক।
চিকিত্সক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'কোভিডের (Covid-19) জন্য কতটা ভয়ঙ্কর পুরোটা বলেছে। সিওপিডি পেশেন্টদের খুব সমস্যা।' কালীপুজোর পরের সপ্তাহেই ছটপুজো।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশ, ছটপুজোর দিন, সন্ধে ৬ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ফাটানো যাবে পরিবেশবান্ধব বাজি। বড়দিন এবং নিউইয়ার, বছর শেষের দুই উত্সবের দিনে, শুধুমাত্র ৩৫ মিনিট বাজি ফাটানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রাত ১১ টা ৫৫ থেকে সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত ফাটানো যাবে পরিবেশবান্ধব বাজি।
করোনা আবহে গত বছরের মতো, এবারও বাজি ফাটানো ও বাজি পোড়ানো বন্ধের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। বাজির ধোঁয়ায় দূষণ বাড়ায় করোনা আক্রান্তদের শ্বাসকষ্টের সমস্যাও আরও বেড়ে যায়। সেই কারণেই এবছরও বাজির ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধের আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারীরা।
মামলাকারীর আইনজীবী ইন্দ্রজিত্ দে জানিয়েছেন, বাজিতে কষ্ট হয়। হার্টে অসুখ হয়। গতবারের নিষেধাজ্ঞা যেন এবছরও জারি থাকে। শুক্রবার হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি।