কান্না শুনে ঘুম ভেঙেছিল স্থানীয় বাসিন্দার, রাজারহাটে ঝোপের মধ্যে থেকে উদ্ধার সদ্যোজাত কন্যা
আপাতত ওই সদ্যোজাতকে উদ্ধার করে আরজিকর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: রাজারহাটের কাজিয়াল পাড়া থেকে সদ্যোজাত কন্যা সন্তান উদ্ধার। শুক্রবার সকালে হঠাৎই সদ্যোজাতর কান্না শুনেই ঘুম ভেঙেছিল স্থানীয় বাসিন্দা পিন্টু সাহার। কান্নার আওয়াজ অনুসরণ করে নিজের বাড়ির পেছনের ঝোপে যান তিনি। সেখান থেকেই উদ্ধার করেন কন্যা সন্তানকে। ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
এর পর পুলিশে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। আপাতত ওই সদ্যোজাতকে উদ্ধার করে আরজিকর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। শিশুটি সুস্থ আছে বলেই খবর।
কে বা কারা ওই সদ্যোজাতকে ফেলে গিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে সদ্যোজাতটি কার তার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা অব্যাহত।
গত ২১ অগাস্ট একই ঘটনা ঘটে বীরভূমের লাভপু। সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে লাভপুর থানার পুলিশ। আজ সকালে লাভপুরের লাঘাটা ব্রিজের সামনে একটি ঝোপের মধ্যে শিশু কন্যার কান্নার আওয়াজ শুনতে পান স্থানীয় এক মহিলা। এর পর খবর যায় লাভপুর থানায়। লাভপুর থানার পুলিশ গিয়ে সদ্যোজাত শিশুকন্যাটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে লাভপুর হাসপাতালে। সেখান থেকে সিয়ান হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে শিশুকন্যাটিকে চিকিৎসার জন্য। কে বা কারা শিশুকন্যাটিকে ফেলে গেল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে লাভপুর থানার পুলিশ। শেষপর্যন্ত শিশুটির বাবা-মায়ের খোঁজ মেলে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
ঘুম ভেঙেছিল একরত্তির কান্নায়। সাতসকালে বাড়ি থেকে বেরোনোর পরই, বীরভূমের লাভপুরের বাসিন্দা সুকুর মণি থমকে যান কান্নার আওয়াজে। তাঁর দাবি, কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর বুঝতে পারেন কুয়ে নদীর সেতুর পাশে ঝোপের মধ্যে থেকে ভেসে আসছে আওয়াজ। কাছে যেতেই, তিনি দেখেন কাপড় জড়ানো অবস্থায় পড়ে আছে এক সদ্যোজাত শিশুকন্যা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
সুকুর মণি মাড্ডি বলেছেন, সকালে ওই এলাকা থেকে যাওয়ার সময় দেখি পড়ে আছে ঝোপের মধ্যে কাপড় জড়িয়ে পড়ে আছে একটি শিশু।
পুলিশ সূত্রে খবর, শিশু উদ্ধারের পরই মা-বাবার খোঁজ মেলে। দম্পতির একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। এই সদ্যোজাত তৃতীয় সন্তান। সদ্যোজাতর মায়ের দাবি, বাচ্চাটি জন্মানোর পর নড়াচড়া না করায় ভেবেছিলাম মারা গেছে। তাই ফেলে গেছিলাম। সদ্যোজাতর মা-বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁদের দাবি।