Bhabanipur By-Polls: ভবানীপুরে ভোটে নেই, প্রচারে আইএনটিইউসি-র নামে হোর্ডিং ঘিরে টানাপোড়েন কংগ্রেসের অন্দরে
রাজ্যে INTUC নেতৃত্বের রাশ, কার হাতে আছে, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।ভুয়ো হোর্ডিং বিতর্কে অভিযুক্ত দেবাশিস দত্তর দাবি, জোটবার্তাকে সুসংহত করতে এআইসিসি-র নির্দেশে প্রচার করেছি।
সঞ্চয়ন মিত্র ও সমিত সেনগুপ্ত, কলকাতা: ভবানীপুরে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের হোর্ডিংয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থনের আহ্বান। সেই হোর্ডিং ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। আইএনটিইউসির নাম ব্যবহার করে হোর্ডিং দেওয়ার অভিযোগে ভবানীপুর থানায় দায়ের হয়েছে জোড়া অভিযোগ। রাজ্য আইএনটিইউসির নেতৃত্বের রাশ কার হাতে, তা নিয়েও তুঙ্গে তরজা।
ভবানীপুর উপনির্বাচনে লড়ছে না কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি তারা।অথচ ভবানীপুরে ভোটের মুখে, ভুয়ো হোর্ডিং বিতর্কে কংগ্রেসের অন্দরেই শুরু হয়েছে টানাপোড়েন।
নেপথ্যে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি ( INTUC)-র নাম করে দেওয়া এই হোর্ডিং।যে বিতর্কের জল গড়িয়েছে থানা পর্যন্ত। হোর্ডিংয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী ছবি দিয়ে, ধর্মনিরপেক্ষতার স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থনের আহ্বান জানানো হয়েছে।হোর্ডিং পড়েছে দেবাশিস দত্তের নামে। যাঁর নামের পাশে, কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি বলে উল্লেখ রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটেই আইএনটিইউসি-র নাম ব্যবহার করে ভুয়ো হোর্ডিং দেওয়ার অভিযোগ করে ভবানীপুর থানায় ২টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন, দক্ষিণ কলকাতা জেলা আইএনটিইউসি-র সভাপতি সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ আশরফি। অন্য অভিযোগটি জানিয়েছেন আইএনটিইউসি-র রাজ্য কোঅর্ডিনেটর মানস বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই বিষয়টি নিয়েই মাথাচাড়া দিয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। রাজ্যে INTUC নেতৃত্বের রাশ, কার হাতে আছে, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।ভুয়ো হোর্ডিং বিতর্কে অভিযুক্ত দেবাশিস দত্তর দাবি, জোটবার্তাকে সুসংহত করতে এআইসিসি-র নির্দেশে প্রচার করেছি। কে কী কমপ্লেন করল, তাতে কিছু এসে যায় না, আমরাই অফিসিয়াল আইএনটিইউসি। আমি ২০১৩ সাল থেকে সভাপতি আছি।
প্রদেশ কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার বলেছেন, আইএনটিইউসি-র ব্যাপারে শেষ কথা বলবেন কামরুজ্জামান কামার। সঞ্জীব রেড্ডি আইএনটিইউসি-র সর্বভারতীয় সভাপতির মান্যতায় তিনি শেষ কথা বলবেন।
ভবানীপুরে ভুয়ো হোর্ডিং বিতর্ক নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ তৃণমূল। পরিবহণমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, এ ধরনের হোর্ডিং তাঁর চোখে পড়েছে। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিতে চাননি তিনি।
ভবানীপুরের ভোটারদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, কংগ্রেস অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে।
সবমিলিয়ে ভোটে না লড়লেও, ভবানীপুরকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের অন্দরে টানাপোড়েন চরমে।