Oxygen Plant in Private Hospital: মিনিটে ৬১০ লিটার অক্সিজেন উৎপাদন, বেহালার বেসরকারি হাসপাতালে বসল অক্সিজেন প্লান্ট
কয়েকদিন আগে পর্যন্ত রাজ্যে মাত্র ৮টি হাসপাতালে স্বয়ংক্রিয় অক্সিজেন প্লান্ট ছিল।
বেহালা: করোনা আবহে অক্সিজেনের বিপুল চাহিদা। কিন্তু যোগান অপর্যাপ্ত। এই পরিস্থিতিতে নিজেরাই স্বয়ংক্রিয় অক্সিজেন প্লান্ট বসালো বেহালার বেসরকারি হাসপাতাল। মিনিটে উৎপাদন হচ্ছে ৬১০ লিটার অক্সিজেন। দেশে প্রতিদিন একটু একটু করে করোনা সংক্রমণ কমলেও, মৃত্যুমিছিল বেড়েই চলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সোমবারের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায়, করোনা কেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার দেশবাসীর প্রাণ।
কয়েকদিন আগে পর্যন্ত রাজ্যে মাত্র ৮টি হাসপাতালে স্বয়ংক্রিয় অক্সিজেন প্লান্ট ছিল। সম্প্রতি এই তালিকায় ঢুকে পড়েছে বেহালার নারায়ণ মেমোরিয়াল হাসপাতালের নাম। তারাও বসিয়েছে অক্সিজেন প্লান্ট। অনেকটা কনসেনট্রেটরের মতোই বাতাস থেকে অক্সিজেন তৈরি করে এই প্লান্ট। মিনিটে ৬১০ লিটার অক্সিজেন তৈরি হয় এখানে। সর্বাধিক মজুত করা যায় ২ হাজার লিটার।
৬০ বেডের এই বেসরকারি হাসপাতালে, এখন শুধুমাত্র কোভিড রোগীদেরই চিকিৎসা হচ্ছে। তাই অক্সিজেনের চাহিদাও বিপুল। স্বয়ংক্রিয় অক্সিজেন প্লান্ট চালু হওয়ার ফলে সেই চাহিদা সামাল দেওয়া গেছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। এরইমধ্যে রাজ্যজুড়ে ১০৫টি সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। একাধিক জায়গায় তার কাজও চলছে জোরকদমে।
আগের ২ দিনের তুলনায় যা অনেকটাই বেশি। পশ্চিমবঙ্গেও লাগাতার প্রতিদিন দেড়শোর ওপরে মৃত্যু হচ্ছ। সোমবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৫৩ জনের। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমলেও, অক্সিজেন ও বেডের চাহিদা এখনও তুঙ্গে।
এই পরিস্থিতিতে বহু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরই অভিযোগ, চাহিদার তুলনায় অক্সিজেন সিলিন্ডার মিলছে অনেক কম। আর যে কয়েকটি হাসপাতালে স্বয়ংক্রিয় অক্সিজেন প্লান্ট আছে, সেই সংখ্যাটাও হাতে গোনা। উল্লেখ্য, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও অক্সিজেন প্লান্ট বসানো হচ্ছে বলেই খবর।
তবে করোনার জেরে চলতে থাকা মৃত্যুমিছিলের রেশ অব্যাহত রাজ্যে। ২৪ মে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত একদিন রাজ্যে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫৩ জন। এই সময়পর্বে রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৮৮৩ জন।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যে জারি লকডাউন। স্বাস্থ্যদফতরের বুলেটিন বলছে কমছে দৈনিক সংক্রমণ।