Fake IAS Updates: রাজ্যপালের সই জাল করা সার্টিফিকেট থেকে নবান্নর ভুয়ো চাকরি, আপন মামার সঙ্গেও প্রতারণা দেবাঞ্জনের!
ভুয়ো আইএএস-এর আরও এক কীর্তি ফাঁস
![Fake IAS Updates: রাজ্যপালের সই জাল করা সার্টিফিকেট থেকে নবান্নর ভুয়ো চাকরি, আপন মামার সঙ্গেও প্রতারণা দেবাঞ্জনের! Fake IAS Debanjan Deb duped maternal uncle with governor false certificate fake govt job Fake IAS Updates: রাজ্যপালের সই জাল করা সার্টিফিকেট থেকে নবান্নর ভুয়ো চাকরি, আপন মামার সঙ্গেও প্রতারণা দেবাঞ্জনের!](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/06/30/0982bec6cecef11054e5bf66ccdb7bfa_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
প্রকাশ সিনহা, অর্ণব মুখোপাধ্যায় ও ঊজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের আরও এক কীর্তি ফাঁস।
শুধু প্রশাসন কিংবা সাধারণ মানুষই নয়, নিজের মামাকেও ছাড়েনি ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন। তৎকালীন রাজ্যপালের সই জাল করে আপন মামার সঙ্গেও আর্থিক প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে গুণধর ভাগ্নের বিরুদ্ধে।
শুধু তাই নয়। ছবি প্রদর্শনীর নাম করে টাকা হাতানো থেকে শুরু করে নবান্নে ভুয়ো চাকরি দেখিয়ে মাসের পর মাস ভুয়ো আইএএস ভাগ্নের প্রতারণার শিকার হতে হয়েছে সেই মামাকে।
প্রতারণার শিকার হওয়া মামা সন্দীপ মান্না জানান, তাঁর ছবি আঁকার শখ। ভাগ্নে তাঁকে বলে, প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, দেবাঞ্জন আমার ছোট দিদির ছেলে। ওদের প্রচুর ঐশ্বর্য। খুব বেশি যোগাযোগ ছিল না। দেবাঞ্জন একদিন প্রস্তাব দেয়, একটা প্রদর্শনী করে দেব। এর কিছুদিন পর ও জানায়, গগনেন্দ্র প্রদর্শশালায় ৫ দিনের প্রদর্শনী হবে। ৩০টি ছবি নিয়ে রেখে দেয়। তার ওপর ৫০ হাজার টাকা চায়। আমি বউয়ের শেষ সম্বল জমা রেখে ৩৫ হাজার টাকা দিই ওকে।
সন্দীপ মান্না জানান, কিছুদিন পর দেবাঞ্জন এসে তাঁকে জানান, তাঁর ছবি ভীষণ পছন্দ হয়েছে রাজ্যপালের (কেশরীনাথ ত্রিপাঠী)। প্রতারিত মামা বলেন, ও এসে বলল, ছবি দেখে রাজভবন মুগ্ধ। বলেছে, সার্টিফিকেট দেবে। রাজ্যপালও খুশি হয়েছেন।
সন্দীপ মান্নার দাবি, রাজভবনের তরফে চিঠি আসে। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি মানব মুখোপাধ্যায়ের সই করা। কেশরীনাথ ত্রিপাঠির সই করা বাঁধানো সার্টিফিকেটও আসে। সেটা ২০১৯ সাল।
এখানেই শেষ নয়। সন্দীপ মান্নার দাবি, নবান্নর চাকরির নামে কয়েকটা কাগজেও সই করায় দেবাঞ্জন। তিনি বলেন, আমায় দেবাঞ্জন বলল, নবান্ন খুশি। আমাকে নিয়োগ করবে বলে জানিয়েছে। এই বলে কয়েকটা কাগজে সই করায়। কী কাজ করতে হবে তাও জানায়। দুর্গাপুজোর সময় কেমন ব্যবস্থা-- এই রিপোর্ট করে পাঠানো ছিল কাজ। এমনকী, ডিউটি সিডিউল বলে দেয়।
সন্দীপ মান্না যোগ করেন, কোনও মাসে ১১ হাজার, কোনও মাসে ১০ হাজার আবার কখনও ১২ হাজার করে টাকা পড়ত ব্যাঙ্কে।
এখন প্রতারিত মামার আক্ষেপ, ছবি এঁকে হোক বা টিউশন করিয়ে, ডায়মন্ড হারবারের বাড়িতে, কোনও ক্রমে সংসার চলত। কিন্তু তাতে তো সম্মান ছিল। তাঁর প্রশ্ন, এভাবে কেন তা নিয়ে ছিনিমিনি খেলল ভাগ্নে?
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)