Jhalda Congress Leader Murder: 'তৃণমূলের ভাড়াটে খুনিদেরই কাজ', ঝালদায় কংগ্রেস নেতা খুনে শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুললেন শুভেন্দু
Jhalda Congress Leader Murder: ক্ষমতাশালী রাজনৈতিকদের জীবনের নিরাপত্তা নেই যেখানে, সেখানে সাধারণ মানুষের প্রাণের কী মূল্য, তা নিয়ে এ দিন বিকেল থেকেই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধী শিবিরের রাজনীতিকরা।
কলকাতা: এক দিনে রাজ্যে ঘটে গিয়েছে দু’-দু’টি শ্যুটআউট (West Bengal Shootouts)। তাতে মৃত্যু হয়েছে দুই প্রভাবশালী রাজনীতিকের। তাতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠছে চারিদিকে, সেই সময় শাসকদল তৃণমূলকে (TMC) কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি (BJP) বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পানিহাটিতে (Panihati TMC Councilor Shot Dead) সদ্য জয়ী তৃণমূল কাউন্সিলরের মৃত্যুতে কোনও মন্তব্য না করলেও, ঝালদায় কংগ্রেস নেতার গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর (Jhalda Congress Leader Murder) ঘটনায় সরাসরি তৃণমূলের দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনি।
রবিবার পুরুলিয়ার (Purulia News) ঝালদায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় কংগ্রেসের বিজয়ী কাউন্সিলর তপন কান্দুর। সেই নিয়ে টুইটারে শাসকদলকে কাঠগড়ায় তোলেন শুভেন্দু। তিনি লেখেন, ’১২ ওয়ার্ডের ঝালদায় ত্রিশঙ্কু পুরসভা। কোনও দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। পাঁচটি করে ওয়ার্ডে জিতেছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল। বাকি দু’টিতে নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। ক্ষমতার যুদ্ধ চলছে। তার মধ্যেই নবনির্বাচিত এবং ঝালদা পুরসভায় কংগ্রেসের চার বারের কাউন্সিলর তপন কান্দুকে গুলি করে খুন করল মোটর সাইকেলে চেপে আসা আততায়ীরা, সন্দেহভাজন তৃণমূলের ভাড়াটে খুনি। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ওঁর মৃত্যু হয়েছে। তৃণমূলের ক্ষমতার লোভেই একটি নিরীহ প্রাণ গেল।’
ক্ষমতাশালী রাজনৈতিকদের জীবনের নিরাপত্তা নেই যেখানে, সেখানে সাধারণ মানুষের প্রাণের কী মূল্য, তা নিয়ে এ দিন বিকেল থেকেই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধী শিবিরের রাজনীতিকরা। শুভেন্দুও তা থেকে বাদ যাননি। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের যদি নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষ কী ভাবে নিরাপদ বোধ করবেন?’
রবিবার বিকেলে ঝালদায় গুবলিবিদ্ধ হন তপন। এ দিন পুরুলিয়া শহরে দলের বৈঠকে যোগ দিতে গেছিলেন তপন কান্দু। বৈঠক শেষ হওয়ার পর ঝালদায় ফিরে যান। বিকেলে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে রাস্তায় হাঁটছিলেন তিনি। অভিযোগ, তখনই মোটরবাইকে করে এসে দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। মাথায় গুলি লাগে কংগ্রেস কাউন্সিলরের। রাঁচির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় শাসকদলকে কাঠগড়ায় তোলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও। তাঁর কথায়, “ঝালদায় কংগ্রেসের বোর্ড গঠনের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে গিয়েছিল। সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দিতেই তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা তপন কান্দুকে হত্যা করল।" সোমবার তপনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন অধীর।