Kasba Incident: কসবাকাণ্ডে দলের শোকজে ক্ষমা চাইলেন মদন মিত্র, 'দল পদক্ষেপ করলেও আমি দল ছাড়ব না..'
Madan Apology TMC Show Cause Notice: কসবাকাণ্ডে দলের শোকজে ক্ষমা চাইলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র, কী জানালেন চিঠিতে ?

কলকাতা: কসবা আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় সরব বিরোধীরা। এদিকে এহেন পরিস্থিতিতে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের মন্তব্য ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছিল তৃণমূলের অন্দরেই। দলের অবস্থান এবং তাকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা মন্তব্যের পর তা গড়ায় শোকজে। তবে এবার দলের শোকজে ক্ষমা চাইলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। দুঃখপ্রকাশ করে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে চিঠি দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন, কার্তিক মহারাজকে এবার আইনি নোটিস, থানায় হাজিরার নির্দেশ নবগ্রাম থানার পুলিশের
রাজ্যের ঘটে যাওয়া একাধিক ইস্যুতে এর আগেও বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন শাসকদলের হেভিওয়েটরা। কখনও দলের নবীন-প্রবীণ ইস্যু, কখনও ওয়াকফ ইস্যু, নানা ইস্যুতে বিতর্কিত মন্তব্যে কাউকেই ছেড়ে দেওয়া হয়নি দলের তরফে। 'উপযুক্ত পদক্ষেপ' নেওয়া হয়েছে। আর এই মুহূর্তে রাজ্যের অন্যতম বড় ঘটনা কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণ কাণ্ড। আর এই ইস্যুতেই সম্প্রতি মদন মিত্রের মন্তব্যে ওঠে বিতর্কের ঝড়। দলের তরফে তাঁকে পাঠানো হয় শোকজ চিঠি। নির্দিষ্টি সময়ের মধ্যেই দলের শোকজের উত্তরে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। মদন মিত্র চিঠিতে বলেছেন, 'আমার মন্তব্যে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় লজ্জিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের প্রতি আমার আস্থা অটুট।'পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন, 'দল পদক্ষেপ করলেও আমি দল ছাড়ব না।'
মূলত কসবাকাণ্ডের পর কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেছিলেন, 'আপনাকে বলেছে মেয়েদের বিভাগে সাধারণ সম্পাদক করবে। এটা হওয়ার জন্য আপনি গেলেন কেন? আমাদের পার্টির অন্যান্য কর্মীকে জানিয়ে গেলেন না কেন? অন্যান্য মেয়েরাও সিদ্ধান্ত নেবে কেউ কখনও আলাদাভাবে কোথাও ডাকলে যাবেন না। কিছু না পারেন, অন্তত তৃণমূলের অফিসে গিয়ে যাঁরা দায়িত্বে আছেন তাঁকে বলুন, আমাদের কর্মীরা সঙ্গে যাবে।' এরপরেই কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্ক মোড় নেয়।
অপরদিকে, শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,' আমরা রাজনৈতিক দলে যে পুরুষরা আছে তারাই তো মহিলাকে নিরাপত্তা দেবে। রক্ষকই যদি ভক্ষক হয়ে যায়, তাহলে কী করে হবে? এই জিনিসের প্রতিবাদ আমি করবই। কনডেম হোক আমার কোনও অসুবিধা নেই। জিরো টলারেন্স ঘটনা ঘটার পরে না ঘটনা ঘটার আগে?' বলেছিলেন তিনি।
এরপরেই সমাজমাধ্যমে প্রথমে দলের তরফে লেখা হয়, MP কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং MLA মদন মিত্রের মতামত তাদের ব্যক্তিগত। বলা হয়েছে, দল তাঁদের এই বক্তব্যের সঙ্গে কোনওভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলির কড়া নিন্দা করছে। এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।মহিলাদের বিরুদ্ধে যে কোনও অপরাধের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবির কথাও স্মরণ করিয়ে দেয় তৃণমূল।






















