Post Poll Violence: হাইকোর্টে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস তদন্তের রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই
রাজ্য সরকারের সিট-এর তিন সদস্য পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র, রণবীর কুমার ও সুমনবালা সাহু উপস্থিত হয়েছেন হাইকোর্টে।
কলকাতা: রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস তদন্তের রিপোর্ট আজ কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ২টি সিলকরা খামে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় রাজ্য সরকারের তৈরি বিশেষ তদন্তকারী দলও রিপোর্ট জমা দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। রাজ্য সরকারের সিট-এর তিন সদস্য পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র, রণবীর কুমার ও সুমনবালা সাহু উপস্থিত হয়েছেন হাইকোর্টে।
উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের মামলায় তদন্ত শুরু হওয়ার পর জেলায় জেলায় তদন্তে গিয়েছে সিবিআই। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর নদিয়ার (Nadia) কোতোয়ালিতে ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তদের। পুনে থেকে পলাতক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। সিবিআইয়ের দাবি, ধৃতের ৪ দিনের ট্রানজিট রিমান্ড পুনে আদালতের। এই মামলায় ১০ সেপ্টেম্বর ১৫ জনের বিরুদ্ধে কৃষ্ণনগর আদালতে চার্জশিট দিয়েছিল সিবিআই। অভিযুক্তদের মধ্যে হাজতে আছে ১২ জন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর বীরভূমের মল্লারপুর জামিনে মুক্ত দুই তৃণমূল কর্মীকে আটক করল সিবিআই (CBI)। জামিনে থাকার পরও কেন আটক তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল (TMC)। অপরাধ করলে কেন ছাড় পাবে? পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি (BJP)।
উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগরে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে CBI। চার্জশিটে নাম রয়েছে ১৫ জনের। তাঁদের মধ্যে, ১২ জন বর্তমানে জেলবন্দি। অন্যদিকে, কাঁকুড়গাছিতে বিজেপি কর্মীর খুনের মামলায় সিজিও কমপ্লেক্সে নারকেলডাঙা থানার এসআইকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন CBI-এর আধিকারিকরা।
বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর এক মাস পর, খুন হন। কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা, বিজেপি কর্মী পলাশ মণ্ডল। পরিবারের অভিযোগ, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে, কুপিয়ে ও গুলি করে খুন করা হয় বিজেপি কর্মীকে। অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এরপর ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তে নেমে, ২৭ অগাস্ট কৃষ্ণনগরের বারুইহুদা মণীন্দ্র পল্লিতে, নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যায় CBI। সেই ঘটনাতেই, শুক্রবার, কৃষ্ণনগর আদালতে চার্জশিট পেশ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
চার্জশিটে নাম রয়েছে ১৫ জনের। তাঁদের মধ্যে, ১২ জন বর্তমানে জেলবন্দি। খুনের ঘটনায় আগেই তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুন ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়। অন্যদিকে, কাঁকুড়গাছিতে বিজেপি কর্মী অভিজিত্ সরকারের মৃত্যু-তদন্তে পুলিশ অফিসারকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। প্রায় দেড় ঘণ্টা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন নারকেলডাঙা থানার সাব ইন্সপেক্টর রত্না সরকার। রেকর্ড করা হয় তাঁর বয়ান। এসআই রত্না সরকার নারকেলডাঙা থানার তদন্তকারী দলের সদস্য।