শহরে ফের রেফার রোগ, কাঠগড়ায় চার হাসপাতাল, খতিয়ে দেখার আশ্বাস এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের
গভীর রাত পর্যন্ত এসএসকেএমের সামনে স্ট্রচারে পড়ে ছিলেন রোগী
কলকাতা: ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চার চারটি হাসপাতালে ঘুরেও রোগী ভর্তি করতে না পারার অভিযোগ। ফের রোগী-প্রত্যাখানের অভিযোগ শহরের একাধিক সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
বেহালা চৌরাস্তার বাসিন্দা এক পরিবারের দাবি, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা নাগাদ বছর ৬৫-র রোগীকে নিয়ে প্রথমে যান বেহালার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকে রেফার করা হলে তাঁরা এসএসকেএম সহ চারটি সরকারি হাসপাতালে যান। কিন্তু অভিযোগ, কেউই ভর্তি নিতে চায়নি। গভীর রাত পর্যন্ত এসএসকেএমের সামনে স্ট্রচারে পড়ে ছিলেন রোগী। এবিপি আনন্দে খবর সম্প্রচারের জেরে অবশেষে ভর্তি।এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
ফের প্রকট সরকারি হাসপাতালের রেফার রোগ। করোনার এই সঙ্কটকালে অসুস্থদের ক্ষেত্রে প্রতি মুহূর্ত যখন ভীষণ মূল্যবান, সেই পরিস্থিতিতে এমন আচরণে প্রশ্নের মুখে একাধিক সরকারি হাসপাতাল। এর আগে গত মাসেই রেফারের জেরে ৩টি হাসপাতালে হয়রানির শিকার হন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস ঘুরে ১৭ ঘণ্টা পর এসএসকেএমে ভর্তি করা হয় রোগিণীকে। বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানায়, এনআরএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে এসএসকেএম ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
পরিবার সূত্রে খবর, গত ২৫ জুন শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ আগরপাড়ার বাসিন্দা ৫৭ বছরের ওই প্রৌঢ়াকে শ্বাসকষ্টের সমস্যার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে রেফার করা হয় এনআরএস হাসপাতালে। অভিযোগ, ওই দিন দুপুর ২টো থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিনা চিকিৎসায় ফেলে রেখে এনআরএসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এখানে চিকিৎসা সম্ভব নয়। রোগিণীর ছেলে জানান "আমি নিজেও অসুস্থ, মায়ের অবস্থার অবনতি হচ্ছে তাও সাড়া দিচ্ছে।" পরিবারের দাবি, রাতে এনআরএস থেকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতাল ঘুরে রোগিণীকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে। অভিযোগ, সেখানেও জরুরি বিভাগের সামনে দীর্ঘক্ষণ কার্যত বিনা চিকিত্সায় ফেলে রাখা হয়। শেষমেশ রাত ১টা নাগাদ এসএসকেএমে ভর্তি করা রোগিণীকে।