শহরে এবার ন্যাশনাল ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর ডেপুটি ডিরেক্টর পরিচয়ে প্রতারণা ! গ্রেফতার অভিযুক্ত
শহরে এবার ন্যাশনাল ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর ডেপুটি ডিরেক্টর পরিচয়ে প্রতারণা !
কলকাতা : ভুয়ো আইপিএস, ভুয়ো সিবিআই আইনজীবী, ভুয়ো আইএএসের পর থেকে হালফিলে পুলিশের জালে ধরা পড়ে এক আইটিআই অফিসার। এবার ন্যাশনাল ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর ডেপুটি ডিরেক্টর পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠল কলকাতায়। ইএম বাইপাস থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে Government of West Bengal বোর্ড লাগানো গাড়ি। গতকাল রাতে প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় নাকা তল্লাশি চলাকালীন ডেপুটি ডিরেক্টর ন্যাশনাল ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো লেখা গাড়ি আটক করে পুলিশ। সদুত্তর দিতে না পারায় গাড়ির মালিক গোলাম রব্বানিকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, তদন্তে জানা যায় বেনিয়াপুকুরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। কী ধরনের প্রতারণা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গত ৩ অগাস্ট কলকাতা পুলিশের কর্মী পরিচয়ে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে আটক করা হয় বেহালার পর্ণশ্রীর বাসিন্দা পার্থ দত্তকে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সম্প্রতি পাঠক পাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। অভিযোগ, নিজেকে লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার কর্মী পরিচয় দিয়ে কলকাতা পুলিশে চাকরি করে দেওয়ার নামে কয়েকজনের থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। টাকা দিয়েও চাকরি না মেলায় গতকাল রাতে অভিযুক্তের পাঠকপাড়ার বাড়িতে যান অভিযোগকারীরা। ওই ব্যক্তিকে আটকে রেখে তাঁরা খবর দেন পর্ণশ্রী থানায়। পরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের পর থেকেই একের পর এক ভুয়োদের গ্রেফতার করছে কলকাতা পুলিশ। জুলাইয়ের শেষ দিকেই গ্রেফতার করা হয় ভুয়ো IPS রাজর্ষি ভট্টাচার্য ওরফে বাবাইকে। ওই ভুয়ো আইপিএসনিরাপত্তারক্ষী ও গাড়ির চালককেও গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, নিজেকে ‘র’ এর এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দিতেন রাজর্ষি। মাঝে মধ্যে তিনি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকার লোককে ভয় দেখাতেন বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি ও তিন লক্ষ টাকা। এরপর রাজর্ষি সম্পর্কে উঠে আসতে শুরু করে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এবার পুলিশের নজরে ভুয়ো ন্যাশনাল ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর ডেপুটি ডিরেক্টর !! এই পরিচয় ভাঙিয়ে সে আর কী কী কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।