Kolkata: বৃষ্টিতে আহিরীটোলা স্ট্রিটে পুরানো বাড়ি ভেঙে মৃত্যু প্রৌঢ়া ও শিশুর, উদ্ধার বেশ কয়েকজন
ভেঙে পড়া চাঙড়ে চাপা পড়া অবস্থায় একজন পুরুষ ও মহিলাকে আটকে থাকতে দেখা গিয়েছে। পুরো বাড়িটিই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।
কলকাতা: বৃষ্টির মধ্যেই উত্তর কলকাতায় জরাজীর্ণ বাড়ি ভেঙে ২ বছরের শিশু ও এক প্রৌঢ়ার মর্মান্তিক মৃত্যু। আজ সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ ৯ নম্বর আহিরীটোলা স্ট্রিটে দোতলা বাড়ি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। আটকে পড়েন শিশু-সহ ১৭ জন। প্রথমে দেওয়াল ভেঙে কয়েকজনকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। পুলিশ, দমকল ও এনডিআরএফ-কে সঙ্গে নিয়ে এক দম্পতি, তাঁদের ২ বছরের শিশুকন্যা ও পরিবারের আত্মীয়া ওই প্রৌঢ়াকে উদ্ধার করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। গ্যাস কাটারের সাহায্যে বেশ কিছুটা অংশ কেটে উদ্ধারকাজ চালানো হয়। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু ও আরজি কর হাসপাতালে মৃত্যু হয় প্রৌঢ়ার। সকালে ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, স্থানীয় বিধায়ক শশী পাঁজা, পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ফিরহাদ হাকিম জানান, শহরে শতাধিক বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে। বাড়িওয়ালা-ভাড়াটের বিবাদের জেরে বাড়ি ফাঁকা না হওয়ায় ব্যবস্থা নিতে পারছে না পুরসভা।
বাড়ি ভেঙে যাওযার পর উদ্ধারকাজে নামে পুলিশ, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। জরাজীর্ণ ওই বাড়ির ধ্বংসস্তুপ থেকে প্রায় ৫ ঘণ্টার চেষ্টায় আটকে থাকা শিশু-বৃদ্ধা সহ অন্যান্যদের উদ্ধার করল এনডিআরএফ, ডিএমজি, দমকল, পুলিশ। উদ্ধার হওয়া শিশুকন্যা ও বৃদ্ধাকে পাঠানো হয় হাসপাতালে।
এদিন সাতসকালেই ঘটে ভয়ঙ্কর ঘটনা। ভেঙে পড়া চাঙড়ে চাপা পড়া অবস্থায় একজন পুরুষ ও মহিলাকে আটকে থাকতে দেখা যায়। পুরো বাড়িটিই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। দমকল কর্মীরা চাঙড় সরিয়ে তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করে। জানা গেছে, স্থানীয়দের দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় প্রথমে একই পরিবারের দুজনকে উদ্ধার করা হয়। ধ্বংসস্তুপের মধ্যে তাঁদের শিশুসন্তান আটকে রয়েছে বলে জানা যায়। পরে আরও দুজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তত রাখা হয়। উদ্ধার হওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘিঞ্জি এলাকায় উদ্ধারকাজে নেমে সমস্যায় পড়তে হয় পুলিশ, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জরাজীর্ণ এই বাড়িটির একাংশ এদিন সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে পৌনে সাতটা নাগাদ ভেঙে পড়ে। বিকট আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। প্রথমে স্থানীয়রাই উদ্ধার কাজে হাত লাগান।