Kolkata: স্টুডেন্ট কাউন্সিল গঠন-সহ একাধিক দাবিতে আর জি করের আন্দোলনরত পড়ুয়াদের মানববন্ধন
Kolkata: নিরপেক্ষ স্টুডেন্ট কাউন্সিল গঠন, অধ্যক্ষের পদত্যাগ-সহ একাধিক দাবিতে অনড় পড়ুয়া, চিকিৎসকদের একাংশ। নবমীর দুপুরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ থেকে বেলগাছিয়া পর্যন্ত মানববন্ধন করেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা।
কলকাতাঃ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে পড়ুয়াদের অনশন আন্দোলন অব্যাহত। নিরপেক্ষ স্টুডেন্ট কাউন্সিল গঠন, অধ্যক্ষের পদত্যাগ-সহ একাধিক দাবিতে অনড় পড়ুয়া, ইন্টার্ন ও জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। নবমীর দুপুরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ থেকে বেলগাছিয়া পর্যন্ত মানববন্ধন করেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। মানববন্ধনে সামিল হন অন্য মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া এবং চিকিৎসকরাও। অভিযোগ, মানববন্ধনে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। তাতে এক পড়ুয়া চিকিৎসক জখম হয়েছেন।
কিছুদিন আগেই দেখা গিয়েছিল যে হাসপাতালে নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে ছুটছেন অধ্যক্ষ। পিছনে স্লোগান দিতে দিতে তাড়া করছেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। তাঁদের হাত থেকে বাঁচতে রাজা বীরেন্দ্র স্ট্রিটে ঢুকে পড়েন অধ্যক্ষ। সেখানেও পৌঁছে যান পড়ুয়ারা। শেষপর্যন্ত উল্টোডাঙা ট্রাফিক গার্ড অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে। প্রায় ২০ মিনিট ধরে চলে টানাপোড়েন। গত রবিবার ভোরে নাটকীয় ঘটনার সাক্ষী ছিল আরজি কর হাসপাতাল চত্বর। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ছাড়াও বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে অনশন-আন্দোলন করছেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে পড়ুয়ারা। সকাল ১১টা থেকে তাঁরা অধ্যক্ষ ও সুপারকে ঘেরাও করে রাখেন। ভোর ৫টা নাগাদ অধ্যক্ষ তাঁর ঘর থেকে বেরিয়ে ছুটতে শুরু করায় তাঁকে তাড়া করেন পড়ুয়ারা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পড়ুয়াদের একাংশের এই টানাপোড়েন কবে মিটবে, তার উত্তর মেলেনি।
অধ্যক্ষের সঙ্গে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। একটি ভিডিও দেখিয়ে, পড়ুয়াদের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেছেন অধ্যক্ষ। আর তা ঘিরে, দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনরত চিকিত্সক পড়ুয়ারা। এরইমধ্যে কর্মবিরতির ডাক দেন, ইন্টার্ন ও হাউস স্টাফদের একাংশ। তার জেরে, হাসপাতালে চিকিত্সা পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অধ্যক্ষের ইস্তফা, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন দাবিতে এখনও আন্দোলনে অনড় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক-পড়ুয়াদের একাংশ। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিক বৈঠকেও মেলেনি রফাসূত্র। এরইমধ্যে পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, তাঁদের বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। যাতে, তাঁরা সন্তানদের আন্দোলন তুলে নিতে বলেন। শুধু তাই নয়, অভিভাবকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। আর এ সব কিছুতেই নাকি ইন্ধন দিচ্ছেন অধ্যক্ষ।