(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
দু’ হাতে অস্ত্র নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছবি, অস্ত্র-সহ গ্রেফতার হল এক দুষ্কৃতী
মানিকতলা থানার পুলিশের হাতে এসেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
কলকাতা: দু’ হাতে অস্ত্র নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছবি দেওয়াই কাল হল। পুলিশের নজরে আসায় অস্ত্র-সহ গ্রেফতার হল এক দুষ্কৃতী। মানিকতলা থানার পুলিশের হাতে এসেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। পুলিশের দাবি, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে অস্ত্র কেনাবেচা করছিল দুষ্কৃতীরা। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোশাক ও হাতঘড়ি দেখে এক দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করা হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি আগ্নেয়াস্ত্র। আরেকটি অস্ত্রের খোঁজ করতেই ধৃত জানায়, সেটা রাখা আছে খুনে অভিযুক্ত ভাটপাড়ার এক দুষ্কৃতীর বাড়িতে। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে অবশ্য অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। পলাতক খুনে অভিযুক্ত ওই দুষ্কৃতীও।
উল্লেখ্য, ভুয়ো আইপিএস অফিসার রাজর্ষি ভট্টাচার্যর গ্রেফতারির পরে তাঁর বেলঘরিয়ার বাড়িতে মিলেছিল বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি। সম্প্রতি ধৃতের বাড়িতে তল্লাশি চালায় কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ। ভুয়ো আইপিএস অফিসারের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় রাইফেল, দোনলা বন্দুক, রিভলবার, এয়ার গান-সহ ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, প্রচুর গুলি। উদ্ধার হয়েছে আইপিএস লোগো লাগানো ব্লেজার ও অশোক স্তম্ভ লাগানো খাকি উর্দি। এ ছাড়াও, ভুয়ো আইপিএস অফিসারের বাড়িতে মিলেছে কয়েক সেট ওয়াকি টকি। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত রাজর্ষি দাবি করেছেন, তিনি উত্তর কলকাতা রাইফেল ক্লাবের সদস্য। তাঁর এই দাবি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পাশাপাশি গত ১৬ জুলাই বেশ কয়েকজন বেআইনি অস্ত্র কারবারিকে গ্রেফতার করে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ। তাদের থেকে ৫ টি দেশি বন্দুক পাওয়া গিয়েছে। অভিযুক্ত ২ ব্যক্তিকে আলিপুরদুয়ার আদালতে পেশ করা হয়েছে। অস্ত্র কারবারিদের জেরা করে অস্ত্র কারখানার খোঁজ শুরু করে আলিপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১১ ই জুলাই রবিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর এই অস্ত্র কারবারির খবর পায় পুলিশ। সেই খবর পেয়েই বীরপাড়া ITI কলেজ এলাকায় অভিযান চালায় আলিপুরদুয়ার থানার এন্টিক্রাইম টিমের পুলিশ। অভিযানে অস্ত্রসহ অভিযুক্ত নূর হোসেনকে গ্রেফতার করে আলিপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্ত নূরের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫ টি অত্যাধুনিক দেশি বন্দুক ও ৫ টি তাজা কার্তুজ। তার বিরুদ্ধে বে-আইনি অস্ত্র রাখার একটি মামলা রুজু করা হয়। এরপর অভিযুক্তকে সোমবার আলিপুরদুয়ার আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের হেফাজতে নেয় পুলিশ।