স্টাইপেন্ড বৃদ্ধির দাবিতে কেপিসি হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের বিক্ষোভ অব্যাহত
কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের ১৩৬ জন ইন্টার্ন গতকাল, শুক্রবার সন্ধে থেকে আন্দোলনে নেমেছেন।
কলকাতা: স্টাইপেন্ড বৃদ্ধির দাবিতে কেপিসি হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের বিক্ষোভ অব্যাহত। রাতভর হাসপাতালের মেন গেট আটকে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল জুনিয়র চিকিৎসকরা। জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের কাউকে বেরোতে দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের ইন্টার্নরা যা স্টাইপেন্ড পান, তা তাঁরা পান না। কর্তৃপক্ষের কাছে স্টাইপেন্ডের অঙ্ক বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের বক্তব্য, দাবি জানানো হলেও কোনও কাজ হয়নি। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চায়। যদিও বিক্ষোভরত জুনিয়র চিকিত্সকদের দাবি, তাঁদের কাছে আলোচনার প্রস্তাব আসেনি।
কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের ১৩৬ জন ইন্টার্ন গতকাল, শুক্রবার সন্ধে থেকে আন্দোলনে নেমেছেন। অন্য মেডিক্যাল কলেজের তুলনায় প্রাপ্ত স্টাইপেন্ড অনেক কম, কর্তৃপক্ষকে এই কথা বারবার জানিয়েছেন বলে দাবি জুনিয়র চিকিৎসকদের। বিপুল সংখ্যক জুনিয়র চিকিৎসক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও জুনিয়র চিকিৎসকদের বক্তব্য পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। নির্দিষ্ট সময় মেনে তাঁরা ডিউটি করছেন।
এক জুনিয় চিকিৎসক বলেন, “আমাদের একটা ডিমান্ড সেটা স্টাইপেন্ড ইস্যু নিয়ে। আজকে কলকাতায় ছটা মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। আর পাঁচটা মেডিক্যাল কলেজ যে স্টাইপেন্ড পাচ্ছেন, আমাদের কলেজে তা অত্যন্ত কম। বাকি কলেজগুলিতে যখন প্রথম মাসের স্যালারি ঢোকে, তখন ওঁরা পায় ২৮ হাজার ৮০০ টাকা। আর সেখানে আমাদের কলেজে আমরা পেয়েছি ৭ হাজার ১৬ টাকা। ওই চিকিৎসকের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে যে আশ্বাস দিয়েছে তা রাখেনি।“
চলতি সপ্তাহের সোমবার স্টাইপেন্ড বৃদ্ধির দাবিতে কেপিসি হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তাররা বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন। অধ্যক্ষ ও সুপারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান জুনিয়র ডাক্তাররা। বিক্ষোভ সামাল দিতে পুলিশ ডাকে কেপিসি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার কলেজ কাউন্সিলরের বৈঠকে আলোচনার আশ্বাস দেওয়ার পর প্রায় ৬ ঘণ্টা পর অবস্থান প্রত্যাহার করেন জুনিয়ার ডাক্তাররা।