Matua Mahasangha: আর কাউকে সমর্থন নয়, মতুয়া ক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম বিজেপি
Matua Mahasangha: রাজ্য কমিটিতে জায়গা না পেয়ে এর আগে বিজেপি-র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান পাঁচ মতুয়া বিধায়ক, অশোক কীর্তনিয়া, সুব্রত ঠাকুর, অসীম সরকার, মুকুটমণি অধিকারী এবং অম্বিকা রায়।
কলকাতা: অন্তর্ঘাত সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে আপ্রাণ। কিন্তু রাজ্য বিজেপি-র উপর ফের আঘাত নেমে এল। এ বার তাদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসঙ্ঘের (All India Matua Mahasangha) সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দু গায়েন (Sukhendu Gayen)। রাজ্য বিজেপি-তে (BJP) মতুয়াদের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই তিনি জানিয়েছেন, আর কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করবে না সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসঙ্ঘ।
রবিবার কলকাতার হেস্টিংসে দলের কার্যালয়ে যখন আপদকালীন বৈঠক চলছে, সেই সময়ই ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দেন সুখেন্দু। তিনি লেখেন, ‘১১ দফা দাবি নিয়ে বিজেপি-কে সমর্থন করেছিলাম। এখনও পর্যন্ত একটিও দাবি পূরণ হয়নি। মতুয়াদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। মতুয়ারাও বঞ্চিত করার ক্ষমতা রাখে। আগামী দিনের জন্য তৈরি থাকুন। মতুয়া মহাসঙ্ঘ আর কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করবে না।’
রাজ্য কমিটিতে জায়গা না পেয়ে এর আগে বিজেপি-র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান পাঁচ মতুয়া বিধায়ক, বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী এবং কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়।
তার পরই শোরগোল পড়ে যায় বিজেপি-র অন্দরে। রবিবার রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) যদিও জানান, মতুয়া বিধায়কদের সঙ্গে কোনও অন্যায় করা হয়নি। বরং তাঁদের যোগ্য সম্মান দিয়েছে বিজেপি। এখনও অনেক পদ খালি পড়ে রয়েছে। এ নিয়ে এ ভাবে রাজনীতি করা উচিত নয়। তবে এ নিয়ে ঠাকুর পরিবারের সদস্য শান্তনু ঠাকুরের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বরং বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, প্রতিবারই তাঁর ফোন বন্ধ মিলেছে।
অন্য দিকে, শুধু মতুয়া ক্ষোভ নয়, দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়েও প্রশ্নের মুখে বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্ব। এ দিন হেস্টিংস অফিসের বৈঠকে সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলে অমিত মালব্যর কাছে ক্ষোভ উগরে দেন বেশ কয়েকজন পরাজিত প্রার্থী। সূত্রের খবর, বরো পিছু ২০-২৫ মিনিটের বৈঠকে বারবার উঠে এসেছে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা। দলের একাংশ প্রার্থীদের হয়ে প্রচারের পরিবর্তে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলেছে বলে পরাজিত বিজেপি প্রার্থীদের দাবি।
সূত্রের খবর, দলের সাংগঠনিক স্তরে রদবদলের পর নতুন উদ্যমে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। পাশাপাশি, কেন্দ্রের প্রকল্প নিয়ে জন সচেতনতা বাড়ানোরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।