Teachers Transfer Agitation: আত্মহত্যার চেষ্টা করা পাঁচ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা রুজু পুলিশের, ‘এরা বিজেপির ক্যাডার’, ফেসবুকে ব্রাত্য
আন্দোলনরত শিক্ষিক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন শিক্ষামন্ত্রী...
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী,কলকাতা: বদলির প্রতিবাদে বিকাশ ভবনের সামনে গতকাল শিক্ষিকাদের আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এদিকে, আত্মহত্যার চেষ্টা করা পাঁচ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করল পুলিশ।
এদিন ফেসবুক পোস্টে তিনি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সুবিধার্থে রাজ্য সরকারের নেওয়া একাধিক পদক্ষেপের কথা উল্লেখ ধরেন। একইসঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষিক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।
তিনি বলেন, ‘বাড়ানো হয়েছে সাম্মানিক। প্রত্যেককে আনা হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায়। চালু হয়েছে এককালীন অবসর-ভাতা। মহিলাদের জন্য সরকারি নিয়মে মাতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থা। এরপরেও যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁরা বিজেপির ক্যাডার।’
ব্রাত্য় বসুর পাশাপাশি, এই ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও। বদলির প্রতিবাদে পাঁচ শিক্ষিকার আত্মহত্যার চেষ্টা নিয়ে ট্যুইট করে তিনি লেখেন, কারও রাজনৈতিক প্ররোচনায় পা দেবেন না। বাম আমলে পঞ্চায়েত দপ্তরে উপেক্ষিত, অনিশ্চিত ছিলেন। অবসরকালীন সুবিধে ছিল না। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে ২০২০-র ১ ডিসেম্বর থেকে সহায়কদের বিদ্যালয় শিক্ষায় এনে সুসংহত চেহারা দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ট্যুইটে লেখেন, সহায়কদের সাম্মানিক বাড়ানো হয়েছে। সবাই স্বাস্থ্যসাথীর আওতায়। ৬০ বছরে অবসরে এককালীন টাকা। অবসরের পর পিএফ।এছাড়া, মাতৃত্বকালীন ছুটি, বছরে ১৮ দিন ছুটি। বাম জমানার সঙ্গে তুলনায় স্পষ্ট, এখন বহু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সেখানে প্ররোচনামূলক আন্দোলনের প্রশ্ন কোথায়? রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এসব হয়। যিনি মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন, তিনিই বিকাশ ভবনের দৃশ্যে। এসব সত্যি হলে গোটাটাই চক্রান্ত।
যদিও, এই ইস্য়ুকে হাতিয়ার করে রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। এদিন ফেসবুকে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী লেখেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে বলবো ― বিকাশ ভবনের সামনে শিক্ষিকাদের আত্মহত্যার চেষ্টা সারা বাংলাকে লজ্জিত ও কলঙ্কিত করছে। আপনার সরাসরি হস্তক্ষেপ দাবি করছি বিষয়টি দেখার জন্য ও সমাধানের জন্য।
তার আগে, এদিন সকালে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, এ রাজ্যে সব থেকে কম বেতন পান শিক্ষকরা। দীর্ঘদিন ধরে ডিএ বাড়ানো হয়নি।প্রতিবাদে তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন। এ রাজ্যে সরকারের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে।
এদিকে, বদলির প্রতিবাদে পুলিশের সামনেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা পাঁচ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করল পুলিশ। একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু বিধাননগর উত্তর থানায়। পুলিশের কাজে বাধা, আত্মহত্যার চেষ্টা, সরকারি নির্দেশ অমান্য সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।