Weather Update: রাজ্যে সরাসরি প্রভাব ফেলবে না ঘূর্ণিঝড় গুলাব, পূর্বাভাস ঝড় ও ভারী বৃষ্টির
চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব। দুর্যোগ-শঙ্কায় জেলায় জেলায় প্রস্তুতি তুঙ্গে। দিঘায় চলছে মাইকে প্রচার।
সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় গুলাবের সরাসরি প্রভাব পড়বে না এই রাজ্যে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বইবে রাজ্যে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামীকাল হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। মঙ্গল ও বুধবার কলকাতা, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় ৫০ থেকে ৬০ কিমি বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের পরেই তৈরি হবে ঘূর্ণাবর্ত। নিম্নচাপ হিসেবে সেটি আছড়ে পড়বে বাংলায়। সূত্রের খবর, আগামিকাল বিকেলে ওড়িশার গোপালপুর ও অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের মাঝে কলিঙ্গপত্তনমের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় গুলাব।
চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব। দুর্যোগ-শঙ্কায় জেলায় জেলায় প্রস্তুতি তুঙ্গে। দিঘায় চলছে মাইকে প্রচার। একই ছবি দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায়। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানিয়েছেন, গুলাবে আমাদের রাজ্যে সরাসরি কোনও প্রভাব পড়বে না, পরোক্ষ প্রভাবে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি হবে।
পুজোর মুখে বাংলার আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা। এক নিম্নচাপের ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই আরও এক নিম্নচাপ। বুলবুল, আমফান থেকে ইয়াসের ক্ষত ভোলেনি বাংলা। তার মধ্যে আরও এক ঘূর্ণঝিড়। রবিবার বিকেলে ওড়িশার গোপালপুর ও অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের মাঝে কলিঙ্গপত্তনমের কাছে, ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা ঘূর্ণঝড় গুলাবের।
বঙ্গবাসীকে স্বস্তি দিয়ে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব পড়বে না রাজ্যে। তবে, দুর্যোগের ধাক্কায় হবে বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, সোমবার থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে উপকূলবর্তী পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। মঙ্গল ও বুধবার কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে পূর্ব মেদিনীপুরে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা আর জানিয়েছেন, '২৮ তারিখ নিম্নচাপ তৈরি হবে, ২৯ তারিখ সকালে উপকূলের দিকে এগোবে, তার প্রভাবে ভারী বৃষ্টি ও হাওয়া বইবে।'
ভারী বৃষ্টির সতর্কতা পরই এদিন, নবান্ন থেকে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। তিনি নির্দেশ দেন, যারা কাঁচা বাড়িতে আছেন, তাঁদের নিরাপদ জায়গায় সরাতে হবে। ব্যবস্থা করতে হবে পর্যাপ্ত ত্রাণের। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু আটকাতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে।
এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আবহাওয়া তো আমাদের হাতে নেই, ইলেকট্রিক চলে গেলে, বিদ্যুৎস্পৃষ্টের আশঙ্কা আছে, সিইএসসি, পুরসভা, সরকারের কথা হচ্ছে।