Pak Sedition Law: দেশদ্রোহ আইন অসাংবিধানিক, ঐতিহাসিক রায় লাহৌর হাইকোর্টের
Pakistan News: বৃহস্পতিবার লাহৌর হাইকোর্টে মামলার শুনানি চলছিল। বিচারপতি শাহিদ করিমের সিঙ্গল বেঞ্চে ওঠে মামলাটি।
লাহৌর: ঔপনিবেশিক শাসনের দিন মনে করায়। এই যুক্তিতেই ঐতিহাসিক রায় পাকিস্তানের লাহৌর হাইকোর্টের। পাক দণ্ডবিধির ১২৪-এ ধারা বাতিল করল আদালত। ১২৪-এ ধারা পাকিস্তানের দেশদ্রোহের ধারা (Pak Sedition Law)। তার আওতায় দোষী সাব্যস্ত হলে কড়া শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় (Pakistan News)। সেই ধারা এবং দেশদ্রোহ আইনকেই অসংবিধানিক ঘোষণা করল আদালত।
বিচারপতি শাহিদ করিমের সিঙ্গল বেঞ্চে ওঠে মামলাটি
বৃহস্পতিবার লাহৌর হাইকোর্টে মামলার শুনানি চলছিল। বিচারপতি শাহিদ করিমের সিঙ্গল বেঞ্চে ওঠে মামলাটি। তিনিই দেশদ্রোহ আইনকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেন। বিচারপতি করিম জানান, পাক সংবিধানের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদ বাক স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে দেশের নাগরিককে। সেই প্রেক্ষিতেই দেশদ্রোহের ধারা খাটে না।
বাক স্বাধীনতা এবং স্বাধীন ভাবে মতামত জানানোর অধিকার খর্ব করতে পাক সরকার দেশদ্রোহ আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহার করছে বলে লাহৌর হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেছিলেন হারুন ফারুখ নামের এক ব্যক্তি। তিনিও সংবিধানে উল্লেখিত ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদের উল্লেখ করেছিলেন নিজের আবেদনে। দেশদ্রোহ আইন বাক স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের অধিকারের পরিপন্থী বলে জানিয়েছিলেন। সেই মামলার শুনানিতেই এমন রায় দিল লাহৌর হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, লাহৌর হাইকোর্টের যে বিচারপতি করিম দেশদ্রোহ আইনকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছেন, তিনিই দেশের প্রাক্তন শাসক জেনারেল পারভেজ মুশারফকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
পাকিস্তানের দেশদ্রোহ আইন এবং ভারতের দেশদ্রোহ আইন পরস্পরের সমতুল্য। সেই ১২৪-এ ধারা অনুযায়ী, মৌখিক বা লিখিত শব্দের মাধ্যমে অথবা স্বাক্ষরের মাধ্যমে, কিংবা অন্য কোনও উপায়ে যদি যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের প্রতি অসন্তোষ, ক্ষোভ অথবা ঘৃণার সঞ্চার করেন কেউ, তাতে যাবজ্জীবনের সাজা হওয়ার পাশাপাশি মোটা টাকা জরিমানাও হতে পারে।
ভারত এবং পাকিস্তানের দেশদ্রোহ আইন পরস্পরের সমতুল্য
ভারতেও দেশদ্রোহিতার উল্লেখ রয়েছে ১২৪-এ ধারায়। গতবছর সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশের পর আপাতত ওই আইন সাময়িক ভাবে নিষ্ক্রিয় রয়েছে। পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে আইনের প্রয়োগ পর্যালোচনা করে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে। যত দিন পর্যন্ত তা সম্পন্ন না হচ্ছে, শীর্ষ আদালত যতদিন না কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হচ্ছে, তত দিন ওই ধারার প্রয়োগ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।