Fodder Scam Cases : পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় লালুর জামিনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে CBI
CBI : চাকরির বিনিময়ে জমি দুর্নীতির অভিযোগে গত মাসেই RJD সুপ্রিমো, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী ও তাঁদের পুত্র তথা বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই...
নয়াদিল্লি : ফের বেকায়দায় লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav) ! পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় (Fodder Scam Cases) তাঁর জামিনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেল সিবিআই। আগামী ২৫ অগাস্ট এনিয়ে শুনানি।
অন্তত চারটি মামলায় RJD প্রধানকে জামিন মঞ্জুর করেছে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট (Jharkhand High Court)। সবক'টি নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই মামলাগুলিতে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং বিভিন্ন আদালতে তাঁর আবেদন ঝুলে রয়েছে।
অবিভক্ত বিহার জুড়ে একাধিক সরকারি কোষাগার থেকে পশুখাদ্যের জন্য বরাদ্দ তহবিল থেকে ৯৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই সুবিধা পাওয়ার জন্য পশুপালন দফতর থেকে জাল বিল ইস্যু করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। লালু প্রসাদ যাদব যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় বা ১৯৯৬ সালে বিষয়টি প্রথম লক্ষ্য করেন চাইবাসার ডেপুটি কমিশনার অমিত খারে।
চাকরির বিনিময়ে জমি দুর্নীতির অভিযোগে গত মাসেই RJD সুপ্রিমো, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী ও তাঁদের পুত্র তথা বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, লালু প্রসাদ যাদব যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত অনেককে জমির বিনিময়ে রেলে চাকরি দেওয়া হয়েছে। সেই জমি হয় 'উপহার' হিসাবে দেওয়া হয়েছে, নয়তো যাদব পরিবারকে সস্তায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের এককাট্টা করার ব্যাপারে প্রাথমিক উদ্যোগ নিতে দেখা যায় লালু প্রসাদ যাদব ও তেজস্বী যাদবকে। গত ২৩ জুন ১৬টি বিরোধী রাজনৈতিক দল যে পাটনায় বৈঠকে বসেছিল তা পিতা-পুত্রের নিরলস চেষ্টার জেরেই। অবশ্য এই উদ্যোগের পেছনে অন্যতম মুখ ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারও। এর পরের ধাপে দ্বিতীয় দফায় বৈঠক করে বিরোধীরা। সেবার আরও ১০টি দল এই শিবিরে যোগ দেয়। জুলাইয়ের ১৭-১৮ তারিখে সেই বৈঠক হয়। সেখানেই বিরোধী শিবিরের নামকরণ করা হয়- ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স বা I.N.D.I.A। এই পরিস্থিতিতে সিবিআইয়ের নয়া উদ্যোগের পেছনে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ উঠছে। বলা হচ্ছে, বিরোধীদের এককাট্টা করতে পিতা-পুত্র তৎপর হওয়ায়, শাসকদল বিজেপি ক্ষমতার অপব্যবহার করতে শুরু করেছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন