৩ বিজেপি নেতাকে খুনের অভিযোগ, কাশ্মীরে গ্রেফতার জঙ্গি
পুলিশ জানিয়েছে, গত বছর ২৯ অক্টোবর ফিদা হোসেন ইয়াত্তো, উমের রশিদ বেগ এবং উমের রামজান হজমকে খুন করা হয়। ঘটনার দিন তাঁরা গাড়ি করে যাচ্ছিলেন। সেই সময় নির্বিচারে তাঁদের উপর গুলি চালায় জঙ্গিরা। কুলগামের পোরা অঞ্চলে তাঁদের খুন করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
কুলগাম: ৩ বিজেপি নেতাকে খুনের ঘটনায় লস্কর-ই-তইবার জঙ্গিকে গ্রেফতার করল জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। গত বছর কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় ওই ৩ বিজেপি নেতাকে ওই জঙ্গি খুন করে বলে অভিযোগ। জারুর আহমেদ নামে লস্কর-ই-তইবার ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের অনুমান বিজেপি নেতাকে খুনের পাশাপাশি কুলগামের ফুরা অঞ্চলে এক পুলিশকর্মীকেও খুন করেছে সে। জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ এবং সেনা যৌথভাবে তল্লাশি চালায়। পুলিশের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, গত বছর ৩ বিজেপি নেতা খুনের পরই হত্যাকারীর খোঁজ শুরু করে পুলিশ। জারুর আহমেদ রাথের সাম্বা জেলায় গা ঢাকা দিয়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে যৌথ তল্লাশিতে যায় পুলিশ এবং সেনা। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে অনন্তনাগ পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্তের জন্য তাকে কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বছর ২৯ অক্টোবর ফিদা হোসেন ইয়াত্তো, উমের রশিদ বেগ এবং উমের রামজান হজমকে খুন করা হয়। ঘটনার দিন তাঁরা গাড়ি করে যাচ্ছিলেন। সেই সময় নির্বিচারে তাঁদের উপর গুলি চালায় জঙ্গিরা। কুলগামের পোরা অঞ্চলে তাঁদের খুন করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত জারুর আহমেদ।
বিজেপি নেতাদের এই মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি নিজের ট্যুইটার হ্য়ান্ডেলে লেখেন, ৩ তরুণ কর্মীর মৃত্যুতে আমি শোকাহত। জম্মু কাশ্মীরে ওই তরুণ নেতারা খুব ভাল কাজ করছিলেন। এই দুঃসময়ে তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল। তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করি। কিন্তু কেন এই খুন? তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ৩৭০ ধারা বিলোপের পরই বিজেপির উপর ক্ষেপে ছিল অনেকে। সূত্রের খবর, গত বছর ১১ জন রাজনৈতিক নেতাক খুন করা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই বিজেপি নেতা কর্মী বলে পরিচিত।