(Source: Poll of Polls)
Captain Anshuman Singh : প্রয়াত ক্যাপ্টেন অংশুমানের স্ত্রীকে নিয়ে 'অবমাননাকর' মন্তব্য, দিল্লি পুলিশের দ্বারস্থ মহিলা কমিশন
Captain Anshuman Singh Wife : স্মৃতি সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ব্যক্তির অপমানজনক মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সরব হয় নেটিজেনরা।
ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংহের স্ত্রী স্মৃতির স্মৃতিচারণা শুনে সেদিন কেঁদেছিল সারা দেশ। স্বামীর হয়ে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘মরণোত্তর কীর্তি চক্র’ নিতে গিয়েছিলেন অংশুমানের স্ত্রী । সঙ্গে ছিলেন মাও। সেদিন রাষ্ট্রপতি ভবনে স্মৃতির কথা গুলো সারা দেশের মানুষের মনে গেঁথে গিয়েছে। কীভাবে একরাত্রের মধ্যে চুরমার হয়ে গিয়েছিল একটি ফুটফুটে মেয়ের সব স্বপ্ন,সে কথা এখন আর কারও অজানা নয়।
এরই মধ্যে স্মৃতি সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ব্যক্তির অপমানজনক মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সরব হয় নেটিজেনরা। এবার কড়া পদক্ষেপ করল ন্যাশনাল কমিশন ফর উইমেন (এনসিডব্লিউ)। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবিলম্বে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে দিল্লি পুলিশকে একটি চিঠি দিয়েছে তারা।
শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংহের এর স্ত্রীর ছবিতে দিল্লির বাসিন্দা আহমাদ কে নামক এক ইউজার একটি অশ্লীল মন্তব্য করে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩ এর ৭৯ তম ধারা ও তথ্য প্রযুক্তির ৬৭ নম্বর ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে। কমিশন আরও বলে, NCW এই আচরণের নিন্দা করে এবং অবিলম্বে দিল্লি পুলিশকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার অভিযোগ জানায়।
গত বছর ১৯ জুলাইয়ের কথা। ১৮ জুলাই দুজনের কত কথা হয়েছিল। অথচ সেদিন রাতে ক্যাপ্টেন ডক্টর অংশুমান তখন সিয়াচেন আর্মি ক্যাম্পে দায়িত্বরত। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে গিয়েছিল সেনার অস্ত্রভান্ডারে। প্রাণের তোয়াক্কা না করে বহুজনকে বাঁচান তিনি। কিন্তু নিজে বাঁচতে পারেননি। আর বাড়ি ফেরা হয়নি তাঁর। ফেরা হয়নি স্মৃতির কাছেই। ভবিষ্যতে সন্তানদের আগলে ঘর করার স্বপ্নটা এ জন্মে এধরাই রয়ে যায়, জানান ক্যাপ্টেনের স্ত্রী।
নেটমাধ্যমে সেই ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল হয়। বেশির ভাগ জনই মন্তব্য করেছিলেন, সেনার স্ত্রী হতে গেলে সাহস লাগে। তারই মধ্যে এক ব্যক্তির অশ্লীল মন্তব্য বেশিরভাগ মানুষকেই চরম অসন্তুষ্ট করেছে।