Lok Sabha Security Breach: ‘অহেতুক রাজনীতি হচ্ছে’, লোকসভায় তাণ্ডবের ঘটনায় সাংসদদের চিঠি স্পিকারের
Om Birla: বুধবার লোকসভার গ্যালারি থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাণ্ডব চালান দুই যুবক। স্মোক ক্যানিস্টার্স থেকে হলুদ ধোঁয়া ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সরকার বিরোধী স্লোগান তোলেন তাঁরা।
নয়াদিল্লি: লোকসভায় তাণ্ডবের ঘটনায় উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি। তাণ্ডবকারীদের পাস ইস্যু করা বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিনহাকে বহিষ্কারের দাবি উঠছে। কিন্তু সেই দাবিতে সরব হওয়ায় বিরোধী শিবিরের সাংসদদেরই সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন এবং বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করার মধ্যে কোনও যোগ নেই বলে দাবি করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla)। সাংসদদের উদ্দেশে সেই মর্মে চিঠি লিখলেন তিনি। (Lok Sabha Security Breach)
বুধবার লোকসভার গ্যালারি থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাণ্ডব চালান দুই যুবক। স্মোক ক্যানিস্টার্স থেকে হলুদ ধোঁয়া ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সরকার বিরোধী স্লোগান তোলেন তাঁরা। সংসদের বাইরে একই ঘটনা ঘটনা তাঁদের সহযোগীরা। সেই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করছেন বিরোধীরা। রাজ্যসভা এবং লোকসভায় সেই দাবি তুলে সাসপেন্ডও হয়েছেন মোট ১৮ জন বিরোধী সাংসদ। কিন্তু লোকসভায় বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করার সঙ্গে তাণ্ডবের কোনও যোগ নেই বলে দাবি স্পিকারের।
শনিবার সাংসসদের লেখা চিঠিতে স্পিকারের যা বলেছেন, তা হল, ‘লোকসভার পবিত্রতা রক্ষা করতেই সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যের বিষয়, লোকসভার কিছু সদস্য এবং কিছু রাজনৈতিক দল এর সঙ্গে ১৩ ডিসেম্বরের ঘটনার সংযোগ দেখছেন’। এই দাবি অযৌক্তিক। ১৩ ডিসেম্বরের ঘটনার সঙ্গে সাংসদদের সাসপেন্ড হওয়ার মধ্যে কোনও সংযোগ নেই। সংসদের পবিত্রতা রক্ষা করতেই ওঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে’।
সাংসদদের লেখা চিঠিতে স্পিকার জানিয়েছেন, লোকসভায় তাণ্ডবের ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তকারীরা সবদিক খতিয়ে দেখছেন। শীঘ্রই সংসদে রিপোর্ট জমা দেবেন তাঁরা। পাশাপাশি, সংসদের নিরাপত্তার খতিয়ে দেখতেও উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দিনে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, তা সুনিশ্চিত করা হবে’।
সংসদে তাণ্ডবের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত ললিত ঝা এর মূলচক্রী বলে দাবি করছেন তদন্তকারীরা। যদিও ধৃতদের দাবি, তাঁরা পড়ুয়া। উচ্চশিক্ষার পরও চাকরি জোটেনি। দিনের পর দিন বঞ্চিত হয়ে চলেছেন। তাঁদের কথা শোনার কেউ নেই। চারপাশের ঘটনাবলীতে তাঁরাও হতাশ। তাই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এই পন্থা নেন। যদিও ধৃতদের বিরুদ্ধে UAPA ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।