Madhya Pradesh News: রাজনীতি নিয়ে তর্কাতর্কি বদলে গেল নৃশংসতায়, দুই মামার হাতে খুন ভাগ্নে
Bihar Election Results 2025: মধ্যপ্রদেশের গুনা থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে।

ভোপাল: রাজনীতি নিয়ে আলোচনা থেকে রক্তারক্তি কাণ্ড। রক্তের সম্পর্ক থাকা ভাগ্নেকে প্রাণেই মেরে ফেললেন দুই মামা। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে তর্ক বাঁধে তাঁদের মধ্যে। আর তা থেকেই খুনোখুনি কাণ্ড ঘটে গেল। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত সকলে। রাজনীতি নিয়ে সাধারণ তর্ক-বিতর্ক এতদূর গড়াতে পারে বলে এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না স্থানীয়রা। (Bihar Election Results 2025)
মধ্যপ্রদেশের গুনা থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে। সোমবার ক্যান্ট থানা এলাকায় পুলিশ লাইন চত্বরে, একটি নির্মানস্থলে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে। পেশায় শ্রমিক, ২২ বছর বয়সি শঙ্কর মাঞ্ঝি বিহারের শিবহারে বাসিন্দা। দুই মামা, রাজেশ মাঞ্ঝি এবং তুফানি মাঞ্ঝির সঙ্গে থাকতে এসেছিলেন। কিন্তু সেই দুই মামার হাতেই বেঘোরে প্রাণ হারালেন ওই যুবক। (Madhya Pradesh News)
সেখানকার থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার অনুপ ভার্গব জানিয়েছেন, শঙ্কর আসলে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সমর্থক। তাঁর দুই মামা আবার NDA-র সমর্থক। মদ্যপানের আসরে রাজনীতির প্রসঙ্গ ওঠে। নিমেষে তেতে ওঠে পরিস্থিতি। তর্কাতর্কি থেকে হাতাহাতি শুরু হয়। শেষে শঙ্করকে টেনে হিঁচড়ে জলকাদার মধ্যে নিয়ে গিয়ে ফেলেন রাজেশ এবং তুফানি। শঙ্করের বুকে চেপে বসেন তাঁরা। কাদায় মুখ ডুবে যায় শঙ্করের। তিনি ছটফট করলেও, সরেননি রাজেশ এবং তুফানি। আর তাতেই মারা যান শঙ্কর।
ঝামেলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। শঙ্করকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। রাজেশ এবং তুফানিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। দু’জনই শঙ্করকে খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে খবর। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। জানা গিয়েছে, তেজস্বীকে নিয়ে কিছু আপত্তিজনক মন্তব্য করেন দুই মামা। ভাগ্নে তার প্রতিবাত করলেই পরিস্থিতি তেতে ওঠে।
এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। বিষয়টিকে শুধুমাত্র হত্যা হিসেবে দেখতে নারাজ অনেকে। প্রশ্ন উঠছে, রাজনীতি নিয়ে সুস্থ আলোচনার পরিবেশ কি নেই দেশে? পরিচিত বা বন্ধুবান্ধব তো বটেই, রাজনীতি নিয়ে আলোচনায় পরিবারের লোকজনের মধ্যেও কি অসহিষ্ণুতা বাড়ছে? নইলে রাজনীতি নিয়ে সাধারণ আলোচনায় জল এতদূর গড়াবে কেন, প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না অনেকেই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেছেন অনেকেই। একজন লেখেন, 'বিহার সরকার সত্যিই কাজ করলে, ওই যুবককে অতদূর যেতেই হতো না'। সমাজ কোন দিকে এগোচ্ছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন অনেকে।























