Education News: পড়ুয়াদের উত্তরপত্র দেখছেন পিওন! পরীক্ষার খাতা নিয়ে হাতেনাতে পড়ল ধরা! সাসপেন্ড প্রিন্সিপাল
Madhya Pradesh News: বিষয়টি প্রমাণ হলে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।

নয়া দিল্লি: সরকারি কলেজ। সদ্য শেষ হয়েছে পরীক্ষা। শিক্ষার্থীরা অপেক্ষা করছে কবে বেরবে রেজাল্ট। কেমনই বা হবে নম্বর। এই সব চিন্তার মধ্যেই যে ভিডিও হাতে পেয়েছে তারা, তা দেখে ভিরমি খাবার অবস্থা। ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কলেজের উত্তরপত্র মূল্যায়ন করছেন কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের নর্মদাপুরমের পিপারিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের পিপারিয়া শহরের শহীদ ভগত সিং সরকারি পিজি কলেজের পিওন পান্নালাল পাথারিয়া পরীক্ষার্থীদের খাতা চেক করছেন। তবে অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিত অধ্যাপক। তাঁর বদলে পরীক্ষার খাতা দেখছেন পিওন, এমনই দাবি করা হচ্ছে।
এরপর শিক্ষার্থীরা স্থানীয় বিধায়ক ঠাকুরদাস নাগবংশীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। যুব বিষয়ক ও সমবায় মন্ত্রী বিশ্বাস সারং নিশ্চিত করেছেন যে অধ্যক্ষ এবং নোডাল অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, অধ্যাপক (যাকে উত্তরপত্র মূল্যায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল) এবং পিয়নের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেজন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকার সর্বদা উচ্চশিক্ষার মান বজায় রাখার চেষ্টা করে। এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক এবং ক্ষমার অযোগ্য। কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, রাকেশ কুমার ভার্মা এবং অধ্যাপক রামগুলাম প্যাটেল উভয়কেই পরীক্ষা প্রক্রিয়া সঠিকভাবে তদারকি করতে ব্যর্থতার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি প্রমাণ হলে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।
ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ওই অধ্যাপককে বরখাস্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। ৩রা এপ্রিল একটি তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়, যেখানে প্রকাশ পায় যে পান্নালাল পাথারিয়াকে উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য ৫০০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল, যে কাজটি খুশবু পাগারের করার কথা ছিল। প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অধ্যাপক পাগার স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে খাতা দেখার কাজ আউটসোর্স করেছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী রাকেশ মেহেরকে ৭০০০ টাকা দিয়েছিলেন, যাতে অন্য কাউকে খাতা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা যায়।






















