Humsafar Express Death: ১১ বছরের নাবালিকার শ্লীলতাহানির জের, চলন্ত ট্রেনে গণপিটুনিতে মৃত কোচ অ্যাটেনডেন্ট
Humsafar Express: হামসফর এক্সপ্রেসের মধ্যে নাবালিকার শ্লীলতাহানির করার জেরে একটি কামরার কোচ অ্যাটেনডেন্টকে পিটিয়ে মারল মেয়েটির পরিবারের সদস্য ও সহযাত্রীরা। মৃতের বাড়ি বিহারে।
কানপুর: চলন্ত ট্রেনের মধ্যে ১১ বছরের এক নাবালিকার শ্লীলতাহানির (Physical harassment) জেরে গণপিটুনিতে মৃত্যু হল রেলের একজন কোচ অ্যাটেনডেন্টের। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখনউ (Lucknow) ও কানপুরের (Kanpur) মাঝে হামসফর এক্সপ্রেসে (Humsafar Express)।
শুক্রবার পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, ৩৪ বছর বয়সী রেলের ওই চুক্তিভিত্তিক কর্মীর নাম প্রশান্ত কুমার। বাড়ি বিহারে। মঙ্গলবার রাতে তাকে বেধড়ক মারধর করে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্য ও ট্রেনে থাকা অন্যান্য যাত্রীরা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে রেলওয়ের অ্যাডিশনাল ডিজি প্রকাশ ডি বলেন, বিহারের সিওয়ান থেকে ওই নাবালিকার পরিবারের সঙ্গেই হামসফর এক্সপ্রেসে উঠেছিল রেলের চুক্তিভিত্তিক কোচ কোচ অ্যাটেনডেন্ট কুমার। অভিযোগ, ট্রেনে ওঠার পর নিজের সিটে ওই নাবালিকাকে শোয়ার প্রস্তাব দেয় সে। সেই অনুযায়ী মেয়েটি সিটে শুয়েও পড়ে।
পরে মেয়েটির মা একটু আড়াল হতেই নাবালিকার শ্লীলতাহানি করে অভিযুক্ত। পরে মাকে এই ঘটনার কথা খুলে বলে নির্যাতিতা। তিনি পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও ট্রেনের কামরায় থাকা অন্য সহযাত্রীদের বিষয়টি খুলে বলেন। এরপরই সবাই মিলে কুমারকে বেধড়ক মারধর করতে করতে কানপুর সেন্ট্রল স্টেশনে নিয়ে এসে জিআরপির হাতে তুলে দেয়। জিআরপির আধিকারিকরা কুমারের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে দেখে কেপিএম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কুমারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
নির্যাতিতার মা ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৪ ধারা ও পকসো আইনে কুমারের নামে এফআইআর করেছেন। বিস্তারিত তদন্তের জন্য সেই এফআইআর লখনউ জিআরপিতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে কুমারের মৃতদেহটি ময়নাতদন্ত করার পর সিওয়ানের তার পরিবারের কাছে শেষকৃত্যের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।