করোনা মহামারীতে কর্মীদের মাইনে দেওয়ার নাম করে ঋণ নিয়ে ল্যাম্বরঘিনি গাড়ি কিনে গ্রেফতার মার্কিন ব্যবসায়ী
৩ লক্ষ ১৮ হাজার মার্কিন ডলার গাড়ি নিয়ে বিলাসবহুল হোটেল-রিসর্টে ঘুরে বেড়ান ডেভিড...
নয়াদিল্লি: নোভেল করোনাভাইরাসের সময় অতি মোটা অঙ্কের ঋণ অনুমোদিত হয়ে যাওয়ার পরই আর সময় নষ্ট করেননি ফ্লোরিডার ব্যবসায়ী ডেভিড হাইনস। কিনে ফেলেছেন "২০২০ ল্যাম্বরঘিনি হুরাকান" স্পোর্টস কার।
গাড়িটার দাম মাত্র ৩ লক্ষ ১৮ হাজার মার্কিন ডলার! টাকার জন্য অসুবিধা হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। কারণ তিনি করোনা পরিস্থিতিতে ব্য়বসা করার স্কিমে ঋণ পেয়েছেন ৪০ লক্ষ মার্কিন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যা ২৯ কোটি টাকার সমান।
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারীর সময়ে ছোট ব্যবসায়ীদের সাহায্য করার জন্য পে-চেক প্রোটেকশন প্রোগ্রাম (পিপিপি) বাবদ টাকা ধার দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে। সেই টাকাই পকেটে পুরেছেন ডেভিড।
আর এটা করার জন্য কোম্পানির পে-রোল খরচ বাবদ নানা মিথ্যে ও ভুয়ো কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। কোম্পানির কর্মীদের কত টাকা বকেয়া বেতন দিতে হচ্ছে ইত্যাদি ব্যাপারেও জাল তথ্য দেন তিনি। ব্যাঙ্কের সঙ্গে জালিয়াতি করা এবং ভুয়ো ও জাল স্টেটমেন্ট জমা দেওয়ার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে ডেভিডকে।
পিপিপি বাবদ টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাওয়ার পরই ল্যাম্বরঘিনি কিনে ফেলেন ডেভিড। তারপর তিনি মিয়ামির বিলাসবহুল হোটেল-রিসর্টে ঘুরে বেড়ান।
ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকায় ঋণের জন্য একাধিক আবেদনপত্র জমা দেন ডেভিড। আর প্রতি আবেদনপত্রেই তিনি দেখান তাঁর সংস্থায় ৭০ জন কর্মী আছেন। তাদের বকেয়া মাইনে দেওয়ার জন্যই তিনি টাকা ধার নিচ্ছেন।
কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে তিনি মাত্র ১২ জন কর্মীকে বকেয়া মাইনে দিয়েছেন যা বাবদ তাঁর মাত্র ২ লক্ষ মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে। এছাড়া, তিনি মাকে দুবার পাঠিয়েছেন ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।
জালিয়াতি ও মিথ্যা কাগজ জমা দেওয়ার অপরাধে ডেভিডকে গ্রেফতার করার পর তাঁর গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ, যা তিনি কোম্পানি ও নিজের যৌথ নামে সাধ করে কিনেছিলেন।