Pahelgam Attack : 'বাচ্চারা যেতে পারে, আপনি নয়', পাকিস্তান থেকে ভারতে বাপের বাড়ি এসে আটকে পড়লেন মহিলা
Attari Wagah Border : সানার সন্তানরা পাকিস্তানি নাগরিক হওয়ায় সীমান্ত পার হতে পারে। কিন্তু তারা এতই ছোট যে সানা তাদের একা পাঠাতে চাননি।

কূটনৈতিকভাবেও পাকিস্তানকে কোনঠাসা করতে শুরু করেছে দিল্লি। বুধবারই ঘোষণা করা হয়, রবিবারের মধ্যেই সব পাকিস্তানী নাগরিককে ভারত ছাড়তে হবে। পাক নাগরিকদের ফেরা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে নজর রাখতে নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই পরিস্থিতিতে ডেডলাইনের শেষ দিনে দেখা গেল, আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত পারাপারের ভিড়। এরই মধ্যে কয়েকটি ছবি নজরে পড়ার মতো। ভারতের বৈধ পাসপোর্ট না থাকায় কাউকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরতে হল পাকিস্তানের বাপের বাড়িতে। কোনও মেয়েকে থেকে যেতে হল ভারতে, সন্তানদের পাঠিয়ে দিতে হল পাকিস্তানে।
যেমন উত্তরপ্রদেশের সানা। অধুনা পাকিস্তানের বধূ। ভারতের নির্দেশ জানামাত্রই বাপের বাড়ি থেকে সন্তান নিয়ে ফিরে যেতে চাইছিলেন পাকিস্তানে। কিন্তু নথি-জটিলতায় থেমে গেল তার যাওয়া। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-সূত্রে খবর, সরধানা এলাকার বাসিন্দা সানা তার দুই সন্তানকে নিয়ে ৪৫ দিনের ভিসায় ভারতে এসেছিলেন। কিন্তু ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত শোনামাত্র পাকিস্তানে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যেতে চান তিনি। সেই জন্য ২৪ এপ্রিল ওয়াগাহ সীমান্তে পৌঁছেও যান। কিন্তু তাঁকে আটকে দেওয়া হয় বর্ডারে। পরিবার জানিয়েছে যে, সানার ভারতীয় পাসপোর্ট থাকায় তাকে পাকিস্তানে ফিরে যেতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু সানার ছোট ছোট সন্তান। তারা পাক নাগরিক। ভারতে এসেছিল মায়ের সঙ্গে। তাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, সানার সন্তানরা পাকিস্তানি নাগরিক হওয়ায় সীমান্ত পার হতে পারে। কিন্তু তারা এতই ছোট যে সানা তাদের একা পাঠাতে চাননি।
শনিবার সানা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন , তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার জন্য তাঁকে ভারত ত্যাগ করার জন্য বলা হয়েছিল। সানা জানান, তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন সীমান্তের অপর দিকে অপেক্ষা করছিলেন, কিন্তু তিনি তাঁদের সঙ্গে দেখাও করতে পারেননি। " বাচ্চারা বাবাকে দেখার জন্য জেদ করেছিল, কিন্তু আমাকে যেতে দেওয়া হয়নি। আমি বাচ্চাদের একা ছাড়তে পারিনি। '' মেয়ের পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রাকেশ কুমার মিশ্র জানিয়েছেন, সানা এই বিষয়ে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করেছেন।
সূত্রের খবর, ২০২০ সালে সানার বিয়ে হয়। ১৪ এপ্রিল, সানা বিয়ের পর দ্বিতীয়বারের মতো ৪৫ দিনের ভিসা নিয়ে ভারতে আসেন। সারধানা গ্রামে তার পরিবারের সঙ্গেই ছিলেন । ১১ দিন পর যখন পহেলগাঁও হামলার পর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর করা হয়, তখনই সরকারের নির্দেশ অনুসরণ করে তাঁকে অবিলম্বে পাকিস্তানে ফিরে যেতে বলা হয়। কিন্তু তাঁর পাকিস্তানি পাসপোর্ট নেই। পাকিস্তানের নিয়ম অনুসারে বিয়ের নয় বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তাই তাঁর সন্তানদের পাকিস্তানে যেতে অসুবিধে না থাকলেও, সানার ক্ষেত্রে আছে বলে দাবি নিয়ন্ত্রণরেখায় দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের।






















