ভারতে বেড়েছে সংখ্যালঘু নির্যাতন, মার্কিন রিপোর্টে দাবি, মিথ্যাভাষ্য নতুন পর্যায়ে, তীব্র নিন্দা দিল্লির
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, "ভারতের বিরুদ্ধে প্রবণতাযুক্ত মন্তব্য নতুন নয়।..."
নয়াদিল্লি: ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ)-এর বার্ষিক রিপোর্টে পেশ করা পর্যবেক্ষণকে খারিজ করল ভারত। নয়াদিল্লির কটাক্ষ, সংস্থার যে বিশেষজ্ঞ প্যানেল রয়েছে, তাদের মিথ্যে বিবরণের মাত্রা নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে।
ভারতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমরা ইউএসসিআইআরএফ-এর বার্ষিক রিপোর্টে পেশ করা পর্যবেক্ষণকে খারিজ করছি। ওই রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে প্রবণতাযুক্ত মন্তব্য নতুন নয়। তবে, এক্ষেত্রে মিথ্যে বিবরণের মাত্রা নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে।
Countries of Particular Concern in #USCIRFAnnualReport2020: Burma, China, Eritrea, India, Iran, Nigeria, North Korea, Pakistan, Russia, Saudi Arabia, Syria, Tajikistan, Turkmenistan, and Vietnam
— USCIRF (@USCIRF) April 28, 2020
ইউএসসিআইআরএফ সম্পর্কে বিদেশ মন্ত্রক জানায়, এরা নিজেদের কমিশনারদেরও বহণে অক্ষম। ইউএসসিআইআরএফ-কে আমরা এমন এক সংগঠন হিসেবে দেখি যারা কেবলমাত্র একটি বিশেষ সমস্যার প্রতি উদ্বিগ্ন এবং সেই অনুযায়ী তাদের সঙ্গে ব্যবহার করি।
প্রসঙ্গত, বিশ্বে ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর নজর রাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত এই মার্কিন সংস্থা সম্প্রতি তাদের রিপোর্টে দিল্লি হিংসা ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। ওই রিপোর্টে ভারতকে তারা একটি বিশেষ সমস্যার দেশ হিসেবে বর্ণনা করে। পাশাপাশি, আরও ১৩টি দেশকেও একই তকমা দেওয়া হয় রিপোর্টে।
ইউএসসিআইআরএফ-এর সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, ২০১৯ সালে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিবেশের অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে অবনতি হয়েছে, যেখানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বেড়ে গিয়েছে। গত বছর এই সংস্থা অভিযোগ করেছিল, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতাকে খর্ব করার জন্য বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন করছে ভারত সরকার।