(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Odisha's New Chief Minister : ৪ বারের বিধায়ক, দক্ষ সংগঠক; ওড়িশার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বেছে নিল BJP
BJP News: এদিন সন্ধেয় কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্ব রাজনাথ সিং ও ভূপেন্দ্র যাদবের তত্ত্বাবধানে উপকূলীয় এই রাজ্যের জন্য পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেয় বিজেপি।
ভুবনেশ্বর : কেন্দ্রীয়মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান ও জুয়েল ওঁরাও। এই পরিস্থিতিতে ওড়িশায় বিজেপি থেকে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন তা নিয়ে ছিল চর্চা। অবশেষে সেই নাম সামনে এল। নবীন পটনায়েকের পর ওড়িশার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন মোহন চরণ মাঝি। এদিন তাঁকেই বেছে নেয় গেরুয়া শিবির। উপ মুখ্যমন্ত্রী হবেন দুই জন। কে ভি সিং দেও ও প্রভাতী পরিদা।
ওড়িশার কেওনঝাড় থেকে চার বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন মোহন চরণ মাঝি। অভিজ্ঞ রাজনীতিক। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বিজেপির বেছে নেওয়ার পেছনে কাজ করেছে তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা। শেষমেশ ৫২-এর এই বিধায়ককেই বেছে নেয় গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, কে ভি সিং দেও ছয়বারের বিধায়ক এবং নবীন পটনায়েক সরকারে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রায় নয় বছর মন্ত্রী ছিলেন। সেই সময় বিজেপি ও বিজু জনতা দল জোটসঙ্গী ছিল।
এদিন সন্ধেয় কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্ব রাজনাথ সিং ও ভূপেন্দ্র যাদবের তত্ত্বাবধানে উপকূলীয় এই রাজ্যের জন্য পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেয় বিজেপি। বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও জুয়েল ওঁরাও। ভুবনেশ্বরে বিজেপির সদর দফতরের বৈঠকে মোহন মাঝির নামে সিলমোহর পড়ে।
ওড়িশা বিধানসভায় আসন সংখ্যা ১৪৭টি। এর মধ্যে এবার বিজেপি ৭৮টিতে জয়লাভ করেছে। অন্যদিকে, বিজেডি জিতেছে ৫১টিতে। ম্যাজিক ফিগার ৭৪-এর অনেক আগেই থামতে হয়েছে তাদের। ১৪টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। শুধু, বিধানসভা নির্বাচনেই নয়, লোকসভা ভোটেও ওড়িশাবাসীর জনাদেশ গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের দিকে। রাজ্যের ২১টি আসনের মধ্যে ২০টিতেই জয়লাভ করেছে বিজেপি। বাকি একটি আসনে জিতেছে কংগ্রেস।
এই পরিস্থিতিতে ২৪ বছরের দীর্ঘ শাসনের কার্যত অবসান ঘটেছে নবীন পটনায়েকের। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে ব্যর্থ হয়েছে বিজু জনতা দল। দীর্ঘ ২৪ বছরের রাজত্বে নবীন পটনায়েক ওড়িশাকে দেশের অন্যতম সেরা রাজ্যে পরিণত করেছেন। কিন্তু, বিজেপির কাছে পরাজয়ের জেরে সেই শাসনের কার্যত অবসান ঘটল। এদিকে এই ঘটনার পর সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পট্টনায়ক-ঘনিষ্ঠ ভি কে পান্ডিয়ান (VK Pandian Retirement From Active Politics)। একটি ভিডিও মেসেজে তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'নবীনবাবুকে সাহায্য় করতেই আমার রাজনীতিতে আসা। এবার, সচেতন ভাবে সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিলাম।'