Mumbai crime news : বৃহন্নলার 'কীর্তি' ! আশীর্বাদের টাকা না পেয়ে তিন মাসের শিশুকে খুন
আশীর্বাদের টাকা না পাওয়ায় খুদে শিশুকেও ছাড় দিল না বৃহন্নলা। পরিকল্পনা করে তিন মাসের শিশুকে অপহরণ করে ফেলে দেওয়া হল জল ভর্তি গর্তে। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে শিশুর বাড়িতে হানা দেয় অভিযুক্ত।
মুম্বই : আশীর্বাদের টাকা নিয়ে শিশুর পরিবারের সঙ্গে বৃহন্নলার বচসার বলি হতে হল এক খুদেকে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ মুম্বইয়ের অম্বেদকর নগরে। অভিযোগ, তিন মাসের ওই শিশুকে অপহরণ করে খুন করেছে বৃহন্নলা।
একেবারে বলিউডি সিনেমার চিত্রনাট্য। আশীর্বাদের টাকা না পাওয়ায় খুদে শিশুকেও ছাড় দিল না বৃহন্নলা। পরিকল্পনা করে তিন মাসের শিশুকে অপহরণ করে ফেলে দেওয়া হল জল ভর্তি গর্তে। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে ওই শিশুর বাড়িতে হানা দেয় অভিযুক্ত। দক্ষিণ মুম্বইয়ের অম্বেদকর নগরের বস্তিতে তখন ঘুমিয়েছিল শিশুর পরিবার। সুযোগ বুঝে শিশুকে অপহরণ করে চম্পট দেয় ওই বৃহন্নলা। পরে কাফে প্যারেড এলাকার একটি নালার গর্তে ফেলে দেওয়া হয় ওই শিশুকে।
ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত বৃহন্নলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম কানহাইয়া চৌগলে ওরফে কান্নু। পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি অম্বেদকর নগরের বস্তিতে সচিন চিট্টোলের ঘরে সন্তান জন্মানোর খবর পায় ওই বৃহন্নলা। শিশুকে আশীর্বাদ করতে গিয়ে ১১০০ টাকা ছাড়াও একটি শাড়ি ও নারকেল দাবি করে সে। যদিও শাড়ি, নারকেল দিতে রাজি হলেও টাকা দিতে রাজি হননি চিট্টোলে। তিনি জানান, লকডাউনের পরে কাজ নেই তাঁর। ফলে ওই টাকা দিতে পারবেন না তিনি।
যদিও আশীর্বাদের টাকা নিতে জোর করতে থাকে ওই বৃহন্নলা। এক সময় যা নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় দুপক্ষের। শেষে কান্নুকে ঘর থেকে বের করে দেন সচিন। যা ভালোভাবে নেয়নি কান্নু। পুলিশ জানিয়েছে, পরিচিত সোনু কালেকে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার খবর জানায় সে। অপমানের বদলা নিতে ছক সাজায় কান্নু। রাত ২ টোর সময় পৌঁছে যায় সচিনের বাড়ি। সেখানে দরজা সামান্য খোলা দেখেই আর দেরি করেনি সে। সোজা শিশুকে তুলে হাঁটা দেয় কান্নু। পরে কাফে প্যারেড এলাকার নালার গর্তে ওই শিশুকে ফেলে পালিয়ে যায় সে।
শনিবার সকালে শিশুকে না দেখে খোঁজ শুরু করে চিট্টোলে পরিবার। অভিযোগ দায়ের করা হয় স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে। সচিন জানান, কদিন আগেই কান্নুর সঙ্গে আশীর্বাদের টাকা নিয়ে বচসা হয়েছিল তাঁর। এরপরই কান্নুর খোঁজ শুরু করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় কান্নু ও সোনু কালেকে। পরে পুলিশি জেরায় শিশু অপহরণ ও খুনের কথা স্বীকার করে ওই বৃহন্নলা। ইতিমধ্যেই শিশুর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেজে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে অপহরণ, খুন ও তথ্য লোপাটের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।