(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Coronavirus Updates: কুম্ভ মেলা ফেরত পুণ্যার্থীরা প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করবেন করোনা, বিস্ফোরক মুম্বইয়ের মেয়র
এদিন বৃহন্মুম্বই পুরসভার মেয়র কিশোরী পেডনেকর বলেন, যে সব পুণ্যার্থীরা কুম্ভ মেলা থেকে নিজেদের রাজ্যে ফিরবেন। তাঁরা করোনাকে প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করবেন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মুম্বইতে যেসব পুণ্যার্থীরা ফিরবেন, তাঁদের বাধ্য়তামূলকভাবে কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে।
মুম্বই: কুম্ভ মেলা থেকে যে পুণ্যার্থীরা ফিরবেন তাঁরা প্রসাদ হিসেবে করোনা বিতরণ করবেন। বিতর্কিত মন্তব্য মুম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পেডনেকরের। দেশজুড়ে মারাত্মক আকার নিয়েছে করোনা। যার মধ্যে প্রথমে নাম রয়েছে মহারাষ্ট্রের।
এদিন বৃহন্মুম্বই পুরসভার মেয়র কিশোরী পেডনেকর বলেন, যে সব পুণ্যার্থীরা কুম্ভ মেলা থেকে নিজেদের রাজ্যে ফিরবেন। তাঁরা করোনাকে প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করবেন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মুম্বইতে যেসব পুণ্যার্থীরা ফিরবেন, তাঁদের বাধ্য়তামূলকভাবে কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। মুম্বইয়ে কোয়ারান্টিনে থাকার খরচ বহন করতে সংশ্লিষ্টদের। তাও জানিয়ে দিয়েছেন কিশোরী।
কুম্ভ মেলায় পুণ্যস্নান করতে গিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। আর তাতে শিকেয় উঠেছে কোভিড বিধি। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ জন সাধু। পাশাপাশি ১০ থেকে ১৫ এপ্রিল, মেলার প্রথম পাঁচ দিনেই ২ হাজার ১৬৭ জনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
কিশোরী পেডনেকর বলেন, মহামারীর জেরে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা উচিত মুম্বইয়ে। তাঁর কথায়, "৯৫ শতাংশ মুম্বইবাসী কোভিজ বিধি মেনে চলছেন। বাকি ৫ শতাংশ কোনও নিয়ম মানছেন না। আর তাতেই সমস্যায় পড়ছেন বাকিরা। তাই আমার মনে হয়, সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা উচিত মুম্বইয়ে।"
শেষ পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় মুম্বইয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ৭২৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৯৮ জনের। শুধুমাত্র মুম্বইয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৮০৩ জন। মৃতের সংখ্যা ৫৩।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ফের রেকর্ড সংক্রমণ দেশে। একদিনে আক্রান্ত ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯২ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩৪১ জনের। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯২ জন করোনায় আক্রান্ত। এনিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৪৫ লাখ ২৬ হাজার ৬০৯। সেরে উঠেছেন ১ কোটি ২৬ লাখ ৭১ হাজার ২২০ জন। দেশে এই মুহূর্তে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৭৯ হাজার ৭৪০ জন। মোট মৃত ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৪৯ জন। ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ১১ কোটি ৯৯ লাখ ৩৭ হাজার ৬৪১ জনকে।