Mumbai Murder: ঘরের টাইলস খুঁড়ে ওঠাতেই বোঁটকা দুর্গন্ধ! 'দৃশ্যম' স্টাইলে স্বামীর দেহ মেঝেয় পুঁতে রেখেছিল স্ত্রী!
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের আরও একটি নির্মম ঘটনা সামনে এসেছে।

মুম্বই: ঘরের মধ্যে ঢুকতেই একাধিক অসঙ্গতি। মেঝের রঙ বদল, ঘরে কেমন একটা গন্ধ! বিষয়টা সন্দেহজনক লাগে। সেটা মাথায় আসতেই পুলিশে খবর। আর এরপর সামনে যা এল, তা দেখে শিড়দাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত নামতে বাধ্য।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের আরও একটি নির্মম ঘটনা সামনে এসেছে। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-তে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রেমিকের সাহায্য নিয়ে এক যুবতী তাঁর স্বামীকে হত্যা করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়৷ তদন্ত শুরু করা হয়। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত স্ত্রীর নাম কোমল চবন। তাঁর স্বামী বিজয় চবন (৩৫)।
সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন ধরে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না কোমলের। নিত্যদিন ঝগড়া লেগেই থাকত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। এহেন সময়ে অভিযুক্ত যুবতী কোমল অন্য একজনের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন৷ খবর অনুযায়ী প্রেমিকের সঙ্গে ফাঁদ পেতে কোমল তাঁর স্বামীকে খুন করেন৷
সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে চবনের দুই ভাই তাঁকে খুঁজতে আরম্ভ করেন। এরপরই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। সোমবার সকালে, বিজয়ের ভাইয়েরা, যারা তাকে খুঁজছিল, তারা তার বাড়িতে যায়। সেখানে তারা দেখতে পায় যে কিছু মেঝের টাইলস বাকিগুলোর রঙের সাথে মেলে না। সন্দেহজনকভাবে, তারা ভিন্ন রঙের টাইলস সরিয়ে ফেলে, কিন্তু নীচে চাপা পড়ে থাকা একটি জ্যাকেট দেখতে পান। সেই সঙ্গে সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে দুর্গন্ধ।
সূত্রে জানা গিয়েছে কোমল এবং তাঁর প্রেমিক মনু প্রথমে মৃতদেহ মেঝের নীচে পুঁতে রাখেন। এরপর অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে নতুন টাইলস লাগান। এই ঘটনা অজয় দেবগনের চরিত্র বিজয় সালগাঁওকারের ক্রাইম থ্রিলার 'দৃশ্যম'-এ ব্যবহৃত পদ্ধতির সঙ্গে আশ্চর্যজনকভাবে মিল।
এর আগে উত্তর প্রদেশের মিরাট থেকে আরেকটি ভয়াবহ ঘটনা জানা গিয়েছিল। সেখানে একজন মার্চেন্ট নেভি অফিসার খুন হন নিজেরই স্ত্রী'র হাতে। সৌরভ রাজপুত কে প্রথমে খুন করা হয়৷ এরপর মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়। তাঁর দেহের প্রায় ১৫ টি টুকরো একটি ড্রামে পুঁতে সিমেন্ট দিয়ে সিল করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ জানিয়েছে, সৌরভ রাজপুতের স্ত্রী মুসকান রাস্তোগির সাহিল শুক্লা নামে এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।






















