(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Nagpur Corona Warrior Died : ১৩০০-র বেশি মৃতদেহ সৎকার, নাগপুরে 'করোনা যোদ্ধার' মৃত্যুতে সরকারি উদাসীনতার অভিযোগ !
নাগপুরে 'করোনা যোদ্ধা'র মৃত্যু কোভিড আক্রান্ত হয়ে। তাঁর চিকিৎসার জন্য সময়ে সরকারি কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ।
নাগপুর : করোনায় মৃত ১৩০০-র বেশি জনের দেহ সৎকার করেছিলেন। সেই 'করোনা যোদ্ধা'রই মৃত্যু হল কোভিড আক্রান্ত হয়ে। শুধু তাই নয়, তাঁর চিকিৎসার জন্য সময়ে সরকারি কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁর সহযোগীরা।
চন্দন নিমজে(৬৭)। কেন্দ্রীয় সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। অতিমারি শুরুর পর থেকে কিং কোবরা অর্গানাইজেশন ইয়ুথ ফোর্স নামে একটি সমাজসেবী সংগঠনের তরফে ১৩০০-র বেশি কোভিডে মৃতের দেহ সৎকার করেছেন নিমজে ও তাঁর সহযোগীরা। একাজের জন্য নিমজে-কে নাগপুরের মেয়র সম্প্রতি 'করোনা যোদ্ধা' হিসাবে সংবর্ধিত করেন।
ওই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা অরবিন্দ রাতুদি সংবাদ সংস্থা PTI-কে শনিবার জানিয়েছেন, নিমজে, তাঁর স্ত্রী, বোন এবং দুই ছেলে গত ২ মে করোনায় আক্রান্ত হন। নিমজেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি কর হয়েছিল। সেখানে তারা ১ লক্ষ টাকা ক্যাশ চায়। কার্ডে পেমেন্ট নেয়নি।
এরপর তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। ৫ মে তাঁকে অন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতুদির অভিযোগ, বিষয়টি নাগপুর পুর নিগমের আধিকারিকদের জানানো হয়েছিল। কিন্তু, কোনও উত্তর আসেনি।
এরপর ৬ মে পরিবারের অন্য সদস্যদের অন্য বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান রাতুদি। এদিকে নিমজের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। হাসপাতালের তরফে Tocilizumab-এর ব্যবস্থা করতে বলা হয়। রাতুদি বলেন, দিল্লির এক ব্যক্তি এই প্রতিষ্ঠান সম্বন্ধে জানেন। তিনি কোনও টাকা-পয়সা না নিয়ে ওই ওষুধের চারটি ভায়াল পাঠান।
এরপর ২৬ মে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিমজের জন্য একটি বেডের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু, সেখানে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় নিমজের। তাঁর সহযোগীদের বক্তব্য, নিমজেকে যদি সময়ে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া যেত। তাহলে তাঁকে বাঁচানো যেত। কিন্তু, বাড়ি সিল করা ছাড়া, পুর আধিকারিকরা কোনও সাহায্য করেননি ওই পরিবারকে।
রাতুদি বলেন, রাজ্য সরকার, NMC এবং জেলা প্রশাসনের উদাসীনতার বিরুদ্ধে আমি বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের কাছে আবেদন করতে চলেছি। আমাদের এত কর্মীর নেটওয়ার্ক থাকা সত্ত্বেও সময়ে সাহায্য পাইনি। তাহলে সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথাটা ভাবুন!