Modi - Trump Relation : 'মোদি এখনও বন্ধুই' ট্রাম্পের মুখে আবার গুণগান! প্রত্যুত্তরে মোদিও বললেন...
India America Relation : রাশিয়ার থেকে তেল কেনায় ভারতের উপরে ৫০ শতাংশ চড়া শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। কিন্তু হোয়াইট হাউসে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে সেই ট্রাম্পই আরও একবার বললেন, এখনও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর কাছের বন্ধুই।

শুক্রবার সোশাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পোস্ট করে ছিলেন, 'মনে হচ্ছে রাশিয়া ও ভারতকে অন্ধকার চিনের কাছে হারিয়ে ফেলেছি।'আর ঠিক একদিনের মধ্যেই হোয়াইট হাউসে সুর নরম করেন ট্রাম্প। রাশিয়ার থেকে তেল কেনায় ভারতের উপরে ৫০ শতাংশ চড়া শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। কিন্তু হোয়াইট হাউসে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে সেই ট্রাম্পই আরও একবার বললেন, এখনও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর কাছের বন্ধুই। স্মরণ করালেন, এই তো কয়েক মাস আগে তাঁরা বাগানে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। তাহলে কি মার্কিন-ভারত সম্পর্কের বরফ আবার গলতে চলেছে?
ট্রাম্পের এই প্রতিক্রিয়ায় মোদির মুখেও ফের বন্ধুত্বের বার্তা । ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে ট্রাম্পের ইতিবাচক মন্তব্যের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের অনুভূতি ও আমাদের সম্পর্কের ইতিবাচক ব্যাখ্যাকে সম্মান জানাচ্ছি, সমর্থন করছি। প্রধানমন্ত্রী ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ককে ইতিবাচক বলেই ব্যাখ্যা করেছেন।
শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে ইতিবাচক মতপ্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'আমি সবসময় মোদির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখব। তিনি এক মহান প্রধানমন্ত্রী। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে, এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।' ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাঁর এই বক্তব্য ট্রুথ সোশ্যালে করা তাঁর আগের মন্তব্যের বিপরীত।
যদিও রাশিয়ার থেকে তেল কেনা নিয়ে ভারতের উপর তিনি যে খুশি নন, সে কথাও ব্যক্ত করেছেন সাংবাদিক বৈঠকেই। বলেছেন , এই বিষয়ে মোদি যা করেছেন, তা তাঁর পছন্দ নয়। তবে ভারত এবং আমেরিকার বন্ধুত্ব গভীর। তা নিয়ে চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সম্প্রতি চিনে এসসিও বৈঠকে চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিং, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্র আলাপচারিতাতেই টনক নড়েছে ট্রাম্পের। তবে শুক্রবারই তিনি তাঁর নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, 'মনে হচ্ছে রাশিয়া ও ভারতকে অন্ধকার চিনের কাছে হারিয়ে ফেলেছি।'কিন্তু তার পর একদিন ঘুরতে-না-ঘুরতেই সুর নরম করে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করলেন ট্রাম্প।
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ থামাতে শাস্তি হিসেবে ভারতের উপর বিরাট শুল্কের বোঝা চাপিয়ে দেয় আমেরিকা। আমেরিকার। হোয়াইট হাউসের দাবি, ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাতে, এটাই রাশিয়ার উপর ঘুরিয়ে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা । হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ থামাতে একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিচ্ছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতসহ বেশ কিছু দেশের উপর অতিরিক্ত শুল্ক বৃদ্ধি সেই পদক্ষেপেরই অংশ। নরেন্দ্র মোদিকে বন্ধু বলে দাবি করেও, রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য দু’দফায় ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। কিন্তু ভারতও চাপের কাছে মাথা নোয়ায়নি। উল্টে চিনে এসসিও বৈঠকে পুতিন মোদির নৈকট্য বিশ্বের নজর কেড়েছে।






















