(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
‘পারসিভের্যান্স’-এর অবতরণে কন্ট্রোল রুম স্বাতীর টিপ!
অবতরণ সমাপ্ত। তাঁর এই কথা শুনেই উচ্ছ্বাস দেখা যায় নাসার সদর দফতরের বিজ্ঞানীদের মধ্যে। স্বাতীর এই সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্ববাসী। ইতিমধ্যে সেই সময়ের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে হাততালি দিয়ে স্বাতী এবং তাঁর টিমকে অভিবাদন জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লাল গ্রহে অবতরণ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রের রোভার ‘পারসিভের্যান্স’। এই অভিযানের অবদান রয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ড. স্বাতী মোহনের। রোভার ল্যান্ডিং এর যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় ছিল তাঁর হাতেই। রোভারের গাইডেন্স, নেভিগেশন ও কন্ট্রোলস অপারেশনসের দায়িত্বে ছিলেন ড. স্বাতী মোহন।
অবতরণ সমাপ্ত। তাঁর এই কথা শুনেই উচ্ছ্বাস দেখা যায় নাসার সদর দফতরের বিজ্ঞানীদের মধ্যে। স্বাতীর এই সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্ববাসী। ইতিমধ্যে সেই সময়ের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে হাততালি দিয়ে স্বাতী এবং তাঁর টিমকে অভিবাদন জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে স্বাতী মোহনকেও। আর এই আবহে উঠে এসেছে স্বাতীর কপালে থাকা টিপ। আর এই টিপকে সাফল্যের চাবিকাঠি বলে মনে করছেন নেটিজেনদের একাংশ।
ট্যুইটারে এক নেটিজেন লিখেছেন, স্বাতী মোহনের জন্য রইল অনেক ভালবাসা। তাঁর কপালের ওই টিপই কন্ট্রোল রুম। আরেক নেটিজেন লিখলেন, অবতরণের খবর নিশ্চিত করেছেন স্বাতী মোহন। টিপ পরা ওই মহিলা ভারতের গর্ব। সারা বিশ্বকেও অনুপ্রাণিত করেছেন তিনি।
কীভাবে অবতরণ হবে ‘পারসিভের্যান্স’-এর? সেই দিকেই তাকিয়ে ছিল গোটা বিশ্ব। ঠিক সেই সময় নিজের দায়িত্ব পালন করছিলেন স্বাতী। জন্মসূত্রে ভারতীয় ড. স্বাতী মোহন। এরপর লেখাপড়া থেকে কর্মক্ষেত্র সবটাই মার্কিন মুলুকে। নাসার বিজ্ঞানী জানান, ৯ বছর থেকে মহাকাশের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয়। এই সংক্রান্ত বিভিন্ন বই পড়তেন। ১৬ বছর বয়সে ঠিক করেন তিনি হবেন মহাকাশ বিজ্ঞানী। মেকানিক্যাল এয়রোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্নাতক হন তিনি। অ্যাস্ট্রোনটিক্সে এমএস থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
ইতিমধ্যেই মঙ্গলপৃষ্ঠের ছবি পাঠিয়েছে ‘পারসিভের্যান্স’। লালগ্রহকে দ্বিতীয় উপনিবেশ হিসেবে গড়তে চলবে অনুসন্ধান। খোঁড়াখুঁড়ি করে সংগ্রহ করবে পাথর ও মাটি। ৪৩টি টেস্ট টিউবে তা সংগ্রহ করা হবে। ২০২৬ সালে নাসার পরবর্তী অভিযানে সেই টেস্ট টিউবগুলি পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে।