‘ভুলে ভরা’ জিএসটি চালু করার জন্য দেশবাসী জেটলির পদত্যাগ দাবি করতেই পারেন: যশবন্ত সিনহা
আমবাবাদ: জিএসটি নিয়ে ফের অরুণ জেটলিকে নিশানা করলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা। তাঁর মতে, ‘ভুলে ভরা’ পণ্য পরিষেবা করের ফলে দেশবাসী যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, তার জন্য তাঁরা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করতেই পারেন। গুজরাতের রাজ্যসভার সাংসদ হলেন জেটলি। সেই বিষয়টিকেও হাতিয়ার করেন যশবন্ত। তাঁর দাবি, গুজরাতের মানুষের কাছে ‘বোঝা’ হয়ে উঠেছেন তিনি।
সাম্প্রতিককালে, মোদী সরকারের আর্থিক নীতির প্রবল সমালোচক হয়েছেন যশবন্ত। তাঁর অভিযোগ, সবদিক খতিয়ে না দেখেই কেন্দ্র তড়িঘড়ি জিএসটি চালু করেছে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর পদে থাকা যশবন্তের মতে, নোট বাতিল ও জিএসটি-র মাধ্যমে দেশ দুটি ধাক্কা খেয়েছে। এদিন গুজরাতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে যশবন্ত বলেন, আমাদের অর্থমন্ত্রী (জেটলি) গুজরাতের মানুষ নন। তাঁকে এখান থেকে রাজ্যসভায় পাঠানো হয়েছে। তিনি না থাকলে সম্ভবত একজন গুজরাতি সেই জায়গায় যেতে পারতেন।
যশবন্ত দাবি করেন, বর্তমান অর্থমন্ত্রী একটিই তত্ত্বে বিশ্বাস করেন। তা হল, তিনি সব কৃতিত্ব নেবেন, কোনও দায় নেবেন না। প্রবীণ নেতার মতে, যদি কার্যকর করার আগে জিএসটি-তে মনোনিবেশ করা হতো, তাহলে এত ভুলভ্রান্তি এড়ানো সম্ভব হতো। একটা ভুলে ভরা কর-ব্যবস্থা দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার কৃতিত্ব তিনি নিতে পারেন না। এর জন্য দেশবাসী তাঁর পদত্যাগ দাবি করতেই পারেন। ওর পদ খোয়া উচিত।
কয়েকদিন আগে, যশবন্তকে কটাক্ষ করে জেটলি বলেছিলেন, কেউ কেউ ৮০ বছর বয়সেও চাকরি চাইছে। এপ্রসঙ্গে জবাব দিয়েছেন যশবন্ত। বলেন, আমি তাঁদের থেকে ফিট যাঁরা বসে বসে ভাষণ পড়ে। প্রসঙ্গত, প্রকাশ্যে না বললেও, যশবন্ত যে জেটলির বসে বাজেট পেশ করাকেই ইঙ্গিত করেছেন, তা স্পষ্ট। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন প্রথম এনডিএ সরকারের আমলে থাকা অর্থমন্ত্রী যশবন্ত জানান, তিনি জিএসটির স্বপক্ষেই ছিলেন। যে কারণে তিনি এর সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু, যেভাবে একে কার্যকর করা হয়েছে, তাতে মানুষের সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।