এক্সপ্লোর
Advertisement
সুকমায় মাওবাদী হামলায় হত ২৬ সিআরপি জওয়ান, 'চ্যালেঞ্জ' হিসাবে দেখছি, বললেন রাজনাথ
রায়পুর: ছত্তিশগড়ের সুকমায় মাওবাদীদের সঙ্গে এনকাউন্টারে প্রাণ হারালেন অন্তত ২৬ সিআরপিএফ জওয়ান। মারাত্মক জখম আধাসামরিক বাহিনীর ৬ জওয়ান। চলতি বছরের গোড়ায় এই ছত্তিশগড়েই ভয়াবহ মাওবাদী হামলায় নিহত হন ওই আধাসামরিক বাহিনীর ১২ জওয়ান। এদিনের আক্রমণ ভয়াবহতার মাত্রার বিচারে সেই হামলাকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
দক্ষিণ বস্তারে মাওবাদী হিংসায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলার বুরকাপাল-চিন্তাগুফা এলাকায় সোমবার দুপুরে এনকাউন্টার হয়। জায়গাটি মাওবাদী হিংসার প্রাণকেন্দ্র চিন্তনগুফা-বুরকাপাল-ভেজি এলাকার কাছেই। ৩০০-র বেশি মাওবাদী হামলা চালায়। ছত্তিশগড় পুলিশের স্পেশাল ডিজি (মাওবাদী দমন অপারেশনস) ডি এম অবস্থি পিটিআইকে বলেছেন, বুরকাপাল গ্রামের কাছে সিআরপিএফের টহলদার দলের ওপর গুলি চালায় মাওবাদীরা। টহলদার দলের জওয়ানরা সিআরপিএফের ৭৪-তম ব্যাটালিয়নের সদস্য। গুলির লড়াইয়ে জখম জওয়ানদের মধ্যে এক ইনসপেক্টর স্তরের অফিসারও রয়েছেন। আহত জওয়ানদের উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে হেলিকপ্টার। নিহত জওয়ানদের সব অস্ত্র, ওয়ারলেস সেট ছিনতাই করেছে মাওবাদীরা।
টহলদার দলে প্রায় ৯৯জন জওয়ান ছিলেন। সিআরপিএফের জনৈক শীর্ষ অফিসার বলেছেন, সর্বশেষ খবর, ২৬জনকে হারিয়েছি আমরা। সব জওয়ানের খোঁজ চলছে। ৭-৮জনের খবর নেই। পরে জানা যায়, প্রথমে ১১ জওয়ানের দেহ পাওয়া যায়। চিরুনি তল্লাসিতে মেলে ১২ জওয়ানের দেহ। বিমানে হাসপাতালে পাঠানোর সময় মারা যান আরেক আহত জওয়ান।
আশপাশের সিআরপিএফ শিবির থেকে জওয়ানরা রওনা দিয়েছেন সংঘর্ষস্থলের দিকে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে তল্লাশি শুরু করেছে কোবরা বাহিনী।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ। তিনি ছিলেন নয়াদিল্লিতে। মাওবাদী হামলার খবর পেয়ে সফর ছেঁটে তিনি দ্রুত রায়পুর রওনা দেন।
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেছেন, এই মাওবাদী হামলাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিচ্ছি। ঘটনাটি খুব 'দুঃখজনক, দুর্ভাগ্যজনক'ও বলেন তিনি।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
বিনোদনের
জেলার
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement