Farmers Protest Live Updates: আজ সদ্ভাবনা দিবস পালন করছেন আন্দোলনরত কৃষকরা
রাকেশ সংবাদমাধ্যমের সামনে চোখের জল ফেলতে ফেলতে বলেন, গ্রেফতারের দরকার নেই, তিনি গলায় দড়ি দেবেন।
LIVE
Background
গাজিয়াবাদ: যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশের পরেও দিল্লি-মীরাট এক্সপ্রেসওয়ে ছাড়লেন না বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের শত শত সদস্য রাস্তায় বসে রয়েছেন। ইউপি গেট ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য গাজিয়াবাদ প্রশাসন তাঁদের চরমপত্র দেয়।
গতকাল সন্ধে থেকে ইউপি গেটে একাধিকবার বিদ্যুৎ চলে গিয়েছে। গভীর রাতে গাজিয়াবাদের জেলা শাসক অজয় শঙ্কর পাণ্ডে ও সিনিয়র পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট কলানিধি নৈথানি বিক্ষোভস্থলে এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। গতকাল থেকে এই এলাকায় মোতায়েন হয়েছেন কয়েকশো নিরাপত্তারক্ষী, তাঁদের সকলের পরনে দাঙ্গা বিরোধী আভরণ।
৩ কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ২৮ নভেম্বর থেকে দলবল নিয়ে এখানে বসে রয়েছেন রাকেশ টিকাইত। গতকাল সন্ধেয় তাঁদের এলাকা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় যোগী প্রশাসন। কিন্তু এরপরেই উত্তর ভারতে প্রভাবশালী হিসেবে খ্যাত ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের ডাকে মূলত পশ্চিম উত্তর প্রদেশ থেকে দলে দলে এখানে আসতে থাকেন কৃষকরা। রাকেশ সংবাদমাধ্যমের সামনে চোখের জল ফেলতে ফেলতে বলেন, গ্রেফতারের দরকার নেই, তিনি গলায় দড়ি দেবেন। এরপরই ভিওয়ানি, হিসার, কৈথাল, জিন্দ, মুজফফরনগর, মীরাট, বাগপত, বিজনৌরের মত জায়গা থেকে কৃষকরা রওনা দেন গাজিপুরের দিকে। পরিস্থিতি দেখে দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রেসওয়ে দুদিক থেকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে, বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।
গাজিয়াবাদ পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বিরাট সংখ্যক পুলিশকর্মী বিক্ষোভস্থলে মোতায়েন করায় উত্তেজনা তৈরি হচ্ছিল। তাই বেশিরভাগ পুলিশ আপাতত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, অল্প কয়েকজন ঘটনাস্থলে রয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা জাতীয় পতাকা ওড়াচ্ছেন, পাশাপাশি ওড়াচ্ছেন কিষাণ একতা মঞ্চের নিজস্ব পতাকা। সঙ্গে চলছে স্লোগান, জয় জওয়ান, জয় কিষাণ। তাঁদের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, কৃষকদের প্রতিবাদের অধিকার রয়েছে। জেলা প্রশাসনও উঠে যাওয়ার কোনও নির্দেশ তাঁদের দেয়নি। তাহলে ইউপি গেট খালি করে তাঁরা উঠে যাবেন কেন।
জেলা প্রশাসন মৌখিকভাবে ভারতীয় কিষাণ মোর্চাকে এলাকা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। লাল কেল্লার তাণ্ডবের পর ৩টি কৃষক সংগঠন ইতিমধ্যেই বিক্ষোভস্থল ছেড়ে চলে গিয়েছে।
সিঙ্ঘুতে প্রচণ্ড অশান্তি চলছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, কৃষকরা মাসের পর মাস তাঁদের রাস্তা দখল করে রেখেছেন, এতে যাতায়াতের যেমন অসুবিধে হচ্ছে, তেমনই রুজিরোজগার সঙ্কটে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করছে পুলিশ। তলোয়ারের আঘাতে এক পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।
প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের আচরণ দুর্ভাগ্যজনক, ভারতীয় জাতীয় পতাকার অপমান করা হয়েছে। বললেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। কৃষি আইন সমর্থন করে তিনি বলেছেন, কৃষি খরচের দেড়গুণ এমএসপি দেওয়া হচ্ছে, কৃষি আইনে ১০ কোটি কৃষকের লাভ হবে। প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের আচরণ দুর্ভাগ্যজনক, সেদিন জাতীয় পতাকার অপমান করা হয়েছে। স্বাধীনতার অর্থ নিয়ম-নীতি পালন না করা নয়, কৃষি আইনের ফলে কোনও ক্ষতি কৃষকদের হয়নি।
সব কৃষক নেতার ‘সিক্রেট’ ফাঁস করে দেব, হুমকি দিলেন লাল কেল্লা তাণ্ডবের অন্যতম অভিযুক্ত দীপ সিধু
লাল কেল্লা তাণ্ডবে দিল্লি পুলিশের এফআইআরে দীপের নাম রয়েছে। তারপর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি।