এক্সপ্লোর
Advertisement
Farmers Protest: কৃষক আন্দোলনের তৃতীয় দিন, দাবিতে অনড় বিক্ষোভকারীরা, দেখে নেওয়া যাক-এখনও পর্যন্ত কী ঘটল
কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অসন্তোষ ছড়িয়েছে পঞ্জাব ও হরিয়ানায়। নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে দিল্লি অভিযানে নেমেছেন কৃষকরা। তাঁরা দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে প্রশাসনের মুখোমুখি হলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির তৈরি হয়। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করা হয়। কৃষকদের নাছোড় মনোভাবের কারণে দিল্লি পুলিশ শেষপর্যন্ত কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে
নয়াদিল্লি:কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অসন্তোষ ছড়িয়েছে পঞ্জাব ও হরিয়ানায়। নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে দিল্লি অভিযানে নেমেছেন কৃষকরা। তাঁরা দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে প্রশাসনের মুখোমুখি হলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির তৈরি হয়। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করা হয়। কৃষকদের নাছোড় মনোভাবের কারণে দিল্লি পুলিশ শেষপর্যন্ত কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। যদিও আন্দোলনকারীদের একাংশ সিন্ধু ও টিকরি সীমানাতেই রয়েছেন। তাঁদের দাবি, সরকারের কোনও প্রথমসারির কেউ তাঁদের সঙ্গে এসে কথা বলুন। সেই সঙ্গে কৃষকরা দিল্লির রামলীলা ময়দান বা জন্তরমন্তরে আন্দোলনের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।
কৃষকদের আন্দোলনের তীব্রতায় শুক্রবার সরকার তাঁদের দিল্লিতে আসার অনুমতি দেয় এবং বুরারির নিরঙ্কারি সমাগম গ্রাউন্ডে আন্দোলনের জায়গা করে দেওয়ার কথা বলে। যদিও পঞ্জাব থেকে দিল্লি আসার প্রধান পথ সিন্ধু বর্ডারে কৃষকদের এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, তাঁরা সেখান থেকে সরবেন না এবং আন্দোলন জারি রাখবেন। আন্দোলনকারীদের এক নেতা বলেছেন, আমরা এখানেই আন্দোলন জারি রাখব। বাড়ি ফিরে যাব না। পঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে হাজার হাজার কৃষক আন্দোলনে সামিল হতে এসেছেন।
অন্যদিকে, নিজেদের দাবি কেন্দ্র সরকারের কাছে পেশ করতে আন্দোলনকারী কৃষকরা দিল্লি পৌঁছতে শুরু করেছেন।শুক্রবার দিল্লির পুলিশ কমিশনার বলেলিছেন, আন্দোলনকারীদের দিল্লিতে আসতে দেওয়া হবে। তাঁদের উত্তর দিল্লির বুরারি এলাকার নিরঙ্কারি সমাগম গ্রাউন্ডে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। তিনি আন্দোলনকারী কৃষকদের আইনশৃঙ্খলা বহাল রেখে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনের আর্জি জানান। পুলিশের অনুমতির পর দিল্লি-হরিয়ানা বর্ডার খুলে দেওয়া হয়েছে। এরপর কৃষকরা দিল্লিতে পৌঁছন।
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর ট্যুইট করে বলেছেন, সরকার কথা বলতে সর্বদাই প্রস্তুত। কৃষকদের প্রতি আর্জি, সমস্ত ন্যয্য দাবি নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলুন। আন্দোলন এর উপায় নয়। এর সমাধান আলোচনার মাধ্যমেই বের করা যাবে।
খট্টর ছাড়াও শুক্রবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরও কৃষকদের আন্দোলনের পথ পরিহারের আর্জি জানান। তিনি বলেন, কৃষকদের সঙ্গে যে কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত কেন্দ্র।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন ইস্যুতে কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন, সত্যের জন্য যাঁরা লড়াই করছেন, সেই কৃষকদের বিশ্বের কোনও সরকারই রুখতে পারে না। তিনি বলেছেন, কৃষকদের দাবি মানতে হবে মোদি সরকারকে এবং ‘কালা কানুন’ প্রত্যাহার করতে হবে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
বিনোদনের
খবর
Advertisement