এক্সপ্লোর
Advertisement
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
ধোঁয়াশার চাদরে মোড়া দিল্লি, শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা বাড়ছে
![ধোঁয়াশার চাদরে মোড়া দিল্লি, শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা বাড়ছে Gas Chamber Blanket Of Smog Thickens In Delhi Doctors Call The Situation Alarming ধোঁয়াশার চাদরে মোড়া দিল্লি, শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা বাড়ছে](https://static.abplive.com/wp-content/uploads/sites/3/2016/11/06044555/pollution.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নয়াদিল্লি: গত কয়েকদিনের মতোই আজও সকাল থেকেই ধোঁয়াশায় ঢেকে রয়েছে রাজধানী দিল্লির আকাশ। দূষিত বাতাসের জেরে বহু মানুষেরই চোখ জ্বালা করছে। শ্বাসকষ্টও হচ্ছে অনেকের। চিকিৎসকরা দিল্লিবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছেন। তাঁদের মতে, যাঁদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে তাঁদের বিপদ বেশি। তবে অন্যরাও নিরাপদ নন। ধোঁয়াশা সবার জন্যই বিপজ্জনক। পরিবেশবিদরা বলছেন, দু দিনের মধ্যে ধোঁয়াশা কাটার সম্ভাবনা নেই। ফলে দিল্লির মানুষের সমস্যা মিটছে না।
শনিবার থেকে দিল্লিতে ধোঁয়াশা বেড়েছে। লেফটেন্যান্ট গভর্নর নাজিব জঙ্গ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল পরিস্থিতিকে ‘গ্যাস চেম্বার’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন। নাইট্রোজেন অক্সাইড, সালফার অক্সাইড, ওজোন, কার্বন মনোক্সাইড, ক্লোরোফ্লুরোকার্বন, বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থ মিশে রয়েছে ধোঁয়াশায়। ফলে দিল্লিবাসীর স্বাস্থ্য নিয়ে চিকিৎসকদের উদ্বেগ স্বাভাবিক।
দিল্লিতে দূষণে মাত্রা জানতে এবিপি আনন্দ পৌঁছেছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের দফতরে। দফতরের মধ্যেই বাতাসে থাকা সব চেয়ে বড় ধূলিকণা পিএম ১০-এর পরিমাণ ৫৪০-এ পৌঁছেছে। যা সহনশীলতার থেকে বহু গুণ বেশি।
প্রতি ঘন মিটার বাতাসে পিএম ১০-এর স্বাভাবিক মাত্রা ১০০ মাইক্রোগ্রাম। ৪০০ ছাড়িয়ে যাওয়া মানে মারাত্মক ক্ষতিকর। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের দফতরে বাতাসে থাকা পিএম ২.৫-এর পরিমাণও ৪১৫-তে পৌঁছেছে।
আর বাইরে দূষণের মাত্রা দেখলে তো পিলে চমকে যাবে। পিএম ১০-র পরিমাণ এখানে ৯৩২-এ পৌঁছেছে। পিএম ২.৫-এর পরিমাণ ৬৬৪।
এইএমসের চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, ‘বুকে টান ধরা এবং রক্ত জমার সমস্যা নিয়ে অনেকেই আসছেন। শ্বাসকষ্ট সংক্রান্ত রোগও ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষেরও এই ধরনের সমস্যা হচ্ছে। সব বয়সের মানুষই ধোঁয়াশার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। জরুরি ভিত্তিতে রাস্তায় যানবাহন, আগুনে বিভিন্ন জিনিস পোড়ানো, ধুলো কমানোর ব্যবস্থা করা উচিত।’
স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের ফুসফুস সংক্রান্ত রোগ বিশেষজ্ঞ অরূপ বসু বলেছেন, ‘সবারই যত বেশিক্ষণ সম্ভব বাড়িতে থাকা উচিত। শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে জল ও অন্যান্য তরল পদার্থ খাওয়া উচিত। বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ অনেক কম থাকায় খুব বেশি পরিশ্রম করা উচিত নয়।’
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
খেলা
খবর
খবর
জেলার খবর
Advertisement
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)