শিশুমৃত্যু: বকেয়া দিতে গড়িমসি, শীর্ষ আমলাকে সরিয়ে দিলেন যোগী আদিত্যনাথ
লখনউ: গোরক্ষপুর হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় এবার শীর্ষ আমলাকে সরিয়ে দিল যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন।
রাজ্য সরকার পরিচালিত বিআরডি হাসপাতালে পাঁচদিনের ব্যবধানে ৬০-এর ওপর শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুদের পরিবারের দাবি, অক্সিজেনের অভাবেই ওই শিশুমৃত্যু হয়।
অভিযোগ ওঠে, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতাল অক্সিজেনের বকেয়া বিল না মেটানোর ফলে লাইন কেটে দেয় সরবরাহকারী সংস্থা। এই নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। দোষীদের কঠোর শাস্তি হবে বলে জানিয়ে দেন তিনি।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে এই মর্মে একটি রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে জমা দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব কুমার। সূত্রের খবর, সেখানে গাফিলতির জন্য ৬ শীর্ষ আধিকারিককে দায়ী করা হয়।
এরপরই সময় নষ্ট না করে, বুধবারই অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (স্বাস্থ্য) অনিতা ভাটনগর জৈনকে সরিয়ে দেন আদিত্যনাথ। তাঁকে ডিজি (প্রশিক্ষণ) করা হয়।
উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থার বকেয়া টাকা দিতে বিলম্ব করেন অনিতা। যার ফলেই হাসপাতালের আইসিইউ ও শিশুবিভাগের অক্সিজেন সরবরাহ কেটে দেয় ওই সংস্থা।
পাশাপাশি, সরিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি (রাজস্ব) রজনীশ দুবেকে। তাঁকে মেডিক্যাল শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, সাসপেন্ড হওয়া প্রিন্সিপাল রাজীব মিশ্র, তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা শুক্ল, কাফিল খান, সতীশ সহ বিআরডি হাসপাতালের একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছে কমিটি।
সূত্রের খবর, সকলের বিরুদ্ধে শীঘ্রই অনিচ্ছাকৃত হত্যা ও কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হবে। এদিকে, গ্রেফতারি এড়াতে বিআরডি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ও তাঁর স্ত্রী আত্মগোপন করে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।