চিন সীমান্তে সংঘাতের জের, আইটিবিপি-র গুরুত্বপূর্ণ পদ ফিরিয়ে আনল কেন্দ্র
নয়াদিল্লি: ক্রমশ বাড়ছে ভারত-চিন সীমান্ত সামরিক সংঘাতের মাত্রা। তিব্বতে চিনা সেনার লাইভ ফায়ার ড্রিলের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আইটিবিপি-র গুরুত্বপূর্ণ পদকে তিন বছর পর ফিরিয়ে আনল কেন্দ্র।
সোমবারই কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী ইন্দো-তিব্বতীয় সীমান্ত পুলিশের (আইটিবিপি) এডিজি-র দায়িত্ব নেন ১৯৮৬ ব্যাচের আইপিএস অফিসার আর কে মিশ্র। বর্তমানে মিশ্র আরেক আধাসামরিক বাহিনী সিআইএসএফ-এর এডিজি-র পদে নিযুক্ত ছিলেন।
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আইটিবিপি-র এডিজি পদটি তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁকে পুনরায় আইটিবিপি-তে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মূলত, চিন সীমান্তে পাহারার দায়িত্বে থাকে ৯০ হাজারের শক্তি-বিশিষ্ট আইটিবিপি।
বর্তমানে চিন সীমান্তে যে ভাবে অস্থিরতার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা মাথায় রেখে বাহিনীর কার্যকারিতা আরও বৃদ্ধি করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, আইটিবিপি-তে এডিজি-র পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, বাহিনীর অপারেশনাল এফেক্টিভনেস উন্নত করতে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেন এডিজি।
বাহিনীর এক শীর্ষ কর্তা জানান, পাশাপাশি, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব মেহঋষিও বাহিনীর কার্যকারিতার পর্যালোচনা করেন। তারপরই, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই পোস্টটিকে পুনরায় সক্রিয় করার সবুজ সঙ্কেত দেন।
কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, গত কয়েক বছরে লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় ভূখণ্ডে বারবার আগ্রাসন ঘটিয়েছে চিনা সেনা। ডোকালামে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে যে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তাও চিন্তা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের।
এমতাবস্থায়, আইটিবিপি-র তরফে এডিজি পদ ফিরিয়ে আনার দাবি উঠেছিল। অবেশেষে তাদের সেই দাবি মিটতে চলেছে।